২০২০ বাজেটে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপক উন্নয়নের আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বললেন দেশের চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লে পরিষেবা পেতে সমস্যা হবে না রোগীর। তার জন্য দেশের প্রতিটি জেলাতে তৈরি হবে মেডিকেল কলেজ। আর তার ফলে বাড়বে চিকিৎসকের সংখ্যা। উন্নত হবে পরিষেবা।এছাড়া সর্বত্র ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা হবে, যেখানে বিক্রি হবে সস্তায় ওষুধ।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বিপুল। আর্থিক অবস্থা যাদের ভালো নয় তাদের খানিকটা বাধ্য হয়েই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যেতে হয়। কিন্তু সঠিক ভাবে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে উঠেছে বারবার। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে স্বাস্থ্য পরিসেবা উন্নয়নে নজর দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এর জন্য বাজেটে ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশের সময় বলেন, আমাদের দেশে চিকিৎসকের বড় অভাব। যেমন পাওয়া যায় না জেনারেল ফিজিশিয়ান, তেমনি পাওয়া যায়না স্পেশালিস্ট কোন চিকিৎসক। তাই প্রথমেই বাড়াতে হবে চিকিৎসকের সংখ্যা। সেইজন্যই পিপিপি মডেলে প্রতিটি জেলা হাসপাতালের সঙ্গে গড়ে তোলা হবে মেডিকেল কলেজ। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন,অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার ফলে চিকিৎসকের সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি উন্নত হবে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা।
দেশে এমন বহু জেলা রয়েছে যেখানে সরকারি হাসপাতাল নেই। সেই সব জেলাতেই চিকিৎসা পরিষেবা পেতে মানুষকে কালঘাম ছোটাতে হয়। তাদের কথা চিন্তা করেই অবিলম্বে আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় হাসপাতাল তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বাজেটে ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন।
সহজে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে উঠতেও নানা প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিভিন্ন এলাকায় ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সর্বোপরি বাজেটে উল্লেখিত প্রকল্প গুলি যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।