দেশে করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হওয়া মানেই এই মহামারীর ‘শেষের শুরু’। রবিবার এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানমন্ত্রক। খুব শীঘ্রই দেশে করোনার দুটি ভ্যাকসিন অর্থাৎ কোভ্যাক্সিন এবং জাইকভ ডি’র ট্রায়াল শুরু হবে। আর সেটা শুরু হওয়া মানেই এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটা বড়সড় হাতিয়ার পেয়ে যাবে দেশ। অন্তত কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানমন্ত্রকের এমনটাই দাবি।
বিজ্ঞানমন্ত্রকের পোর্টাল বিজ্ঞান প্রসার এবং প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে রবিবার মন্ত্রকের তরফে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে বিজ্ঞানমন্ত্রকে কর্মরত এক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন,”ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের অনুমতি পাওয়ার পরেই ভারতে কোভ্যাক্সিন ও জাইকভ ডি’র ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। আর ট্রায়াল শুরু হওয়া মানেই করোনার শেষের শুরু। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ১০০’র বেশি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যে ১১টি ভ্যাকসিনের মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ছটি ভারতীয় সংস্থা COVID-19-এর ভ্যাকসিন তৈরি করছে। COVAXIN এবং ZyCov-D-সহ মোট এগারোটি করোনার টিকা মানব দেহে প্রয়োগের অপেক্ষায়। এই ট্রায়াল শুরু হওয়া মানেই করোনার বিদায়ের দিন এগিয়ে আসবে।”
ওই প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই করোনার টিকা তৈরি হতে পারে। কিন্তু যতদিন না ভারতে এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে, ততদিন আমরা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছতে পারব না। বিজ্ঞানমন্ত্রকের ওই প্রতিবেদনে ঘোষণা করা হয়েছে, ভারত ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই দুটি বড় বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ব্রিটেনের আস্ট্রাজেনেকা ও আমেরিকার মোডের্নার ভারতে প্রতিষেধকটি উৎপাদনে রাজিও হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। বিজ্ঞানমন্ত্রকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভ্যাকসিন যত শীঘ্রই আবিষ্কার হোক না কেন, দেশে পুরোদমে করোনার প্রতিষেধক তৈরি হতে আরও ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে।