একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে অজানা জ্বর। এই জোড়া ফলায় এখন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ এই অজানা জ্বরে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। শিশু মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। তা নিয়ে চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের উপর। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোন হাসপাতালে কত শিশু শয্যা রয়েছে তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এমনকী রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা শিশুদের জন্য বাড়ানো হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। কোথায় কত এসএনএসইউ, পিকু, নিকু শয্যা কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে তা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে শিশুরোগের শয্যা সম্পর্কে জানাতেই এই পদক্ষেপ।
করোনাভাইরাসের সময়ও বিভিন্ন হাসপাতালে যখন বেডের হাহাকার পড়েছিল তখনও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ঘোষণা করা হয়। কোন হাসপাতালে কত শয্যা রয়েছে তার খতিয়ান ওয়েবসাইটে তুলে ধরার কথা বলা হয়েছিল। এবার একই পথেই হাঁটছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যজুড়ে যখন শিশুরা অজানা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে তখন হাসপাতালগুলি শিশুদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পথে হাঁটছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের পরামর্শে এই কাজকরা হচ্ছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অজানা জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর তৎপর। কারণ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ছুটে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। প্রতিটি জেলায় শিশুদের আইসিইউ বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকুর বেডের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক ধাক্কায় সেই সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ৬৭৯ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এসএসকেএম, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হয়েছে নিউবর্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিকুর বেডের সংখ্যাও। এত দিন পর্যন্ত রাজ্যের ২১টি হাসপাতালে পিকুর সংখ্যা ছিল ২৪৪টি। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সেখানে আরও ২৪৪টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসের কথা মাথায় রেখে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে আপোষ করতে নারাজ রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেও শয্যা সংখ্যা বাড়তে চলেছে বলে খবর।