বিশেষ ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, পোলিও টিকাদানের দিন পিছিয়ে ৩১শে জানুয়ারি

১৭ জানুয়ারি, রবিবার দেশজুড়ে পালস পোলিও টিকা দেওয়ার কথা ছিল৷ করোনাটিকার জন্য ওই কর্মসুচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নতুন দিন ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৬ জানুয়ারি শনিবার করোনা টিকাকরণ শুরু হচ্ছে৷ তাই ১৭ তারিখের পালস পোলিও টিকাকরণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পরিবর্তে আগামী ৩১ জানুয়ারি,রবিবার পোলিও টিকা দেওয়া হবে৷
যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শিশুও পোলিও আক্রান্ত থাকে, ততক্ষণ পুরো দেশের শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়ে যায়। তাই একযোগে সারাদেশে পোলিও টিকাকরণ চলে৷
পোলিও ভাইরাসঘটিত সংক্রমক রোগ, যা মূলতঃ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে আক্রমণ করে। এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে মলদ্বার বা মুখগহ্বরের মাধ্যমে বা সংক্রমিত জল বা খাদ্যের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়ে। কোনও একটি শিশু যদি পোলিও দ্বারা সংক্রমিত হয় তবে সারা দেশ জুড়ে পোলিও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৭ মার্চ ২০১৪ সালে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভারতকে পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। ভারতে সর্বশেষ পোলিওর ঘটনাটি নথিভুক্তকরণের আট বছর পূর্ণ হল ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। পোলিও থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা,যে কোনও দেশের উন্নতির পক্ষে মাইলস্টোন।
এদিকে ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার মাস ভ্যাকসিনেশন। দেশ জুড়ে এই বিশাল কর্মকান্ড শুরু হতে চলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতাধীন এই মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে তবে ভ্যাকসিন পেতে পারেন মানুষ বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করতেই হবে।
কারা কারা ভ্যাকসিন পাবেন, আর কারা পাবেন না, সেই বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে
১. ১৮ বছর ও তার উর্দ্ধের ব্যক্তিরা ভ্যাকসিন পাবেন
২. ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ দিনের ফারাক রাখতে হবে।
৩. ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি, প্রথম ডোজের কোম্পানিরই হতে হবে। অন্য কোনও কোম্পানির হলে চলবে না।
৪. ভ্যাকসিনের ইন্টারচেঞ্জ করা চলবে না।
৫. যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে বা করোনা টিকার প্রথম ডোজের পর অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হয়েছে, তারা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না।
৬. গর্ভবতী মহিলা ও শিশু দুধ পান করে এমন মায়েদের এই মাস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া চলবে না।
৭. যে সব রোগি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের সুস্থ হওয়ার নির্দিষ্ট দিন থেকে ৪-৮ সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে।
৮. যাঁরা করোনা আক্রান্ত ও অ্যাকটিভ লক্ষ্মণ রয়েছে, তাঁদেরও চার থেকে আট সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
৮. করোনা আক্রান্ত রোগী, যাঁদের চিকিৎসা চলাকালীন SARS-CoV-2 monoclonal antibodies বা covalescent plasma দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।
৯. যাঁরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আইসিইউতে রয়েছেন বা নেই, তাঁদের টিকা এখনই দেওয়া যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.