মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রস্তুত দেশ, নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রেরমাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রস্তুত দেশ, ভ্যাকসিনেশনের জন্য নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের, ভ্যাকসিন, vaccin,

১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার মাস ভ্যাকসিনেশন। দেশ জুড়ে এই বিশাল কর্মকান্ড শুরু হতে চলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতাধীন এই মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে তবে ভ্যাকসিন পেতে পারেন মানুষ বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করতেই হবে।

কারা কারা ভ্যাকসিন পাবেন, আর কারা পাবেন না, সেই বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে

১. ১৮ বছর ও তার উর্দ্ধের ব্যক্তিরা ভ্যাকসিন পাবেন
২. ভ্যাকসিন ডোজের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ দিনের ফারাক রাখতে হবে।
৩. ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি, প্রথম ডোজের কোম্পানিরই হতে হবে। অন্য কোনও কোম্পানির হলে চলবে না।
৪. ভ্যাকসিনের ইন্টারচেঞ্জ করা চলবে না।
৫. যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে বা করোনা টিকার প্রথম ডোজের পর অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হয়েছে, তারা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন না।
৬. গর্ভবতী মহিলা ও শিশু দুধ পান করে এমন মায়েদের এই মাস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া চলবে না।
৭. যে সব রোগি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের সুস্থ হওয়ার নির্দিষ্ট দিন থেকে ৪-৮ সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে।
৮. যাঁরা করোনা আক্রান্ত ও অ্যাকটিভ লক্ষ্মণ রয়েছে, তাঁদেরও চার থেকে আট সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
৮. করোনা আক্রান্ত রোগী, যাঁদের চিকিৎসা চলাকালীন SARS-CoV-2 monoclonal antibodies বা covalescent plasma দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।
৯. যাঁরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আইসিইউতে রয়েছেন বা নেই, তাঁদের টিকা এখনই দেওয়া যাবে না।

ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. কৃষ্ণ এল্লা বলেন, ‘‘এই টিকা শুধুমাত্র ১৮ উর্ধ্বদের জন্য৷ শিশু বা কিশোরদের জন্য নয়৷ শিশুদের জন্য পৃথক ভাবে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে৷’’ তিনি আরও জানান, ‘‘এই টিকা প্রস্তুত হতে প্রায় ছয় মাস লেগে যাবে৷ কোভ্যাক্সিন শিশুদের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে৷’’ তবে এই মুহূর্তে করোনা টিকা যে কোনও ভাবেই শিশুদের উপর প্রয়োগ করার কোনও অনুমতি নেই, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷

কোভ্যাক্সিন বাজারে পৌঁছনোর পর একটি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার টাকা৷ কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফা ট্রায়ালের ফল মার্চ মাসের মধ্যে জানা যাবে৷ এর পর তা জমা দেওয়া হবে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়াকে৷ ড. কৃষ্ণ এল্লার আশ্বাস, ‘‘ এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ এটি কারও বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না৷’’ আগমী ১৬ তারিখ যাঁরা টিকা নেবেন, তাঁদের উদ্দেশে ড. এল্লা বলেন, টিকা নেওয়ার পর সামান্য জ্বর আসতে পারে৷ ব্যাথাও অনুভব হবে৷ টানা তিনদিন জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.