কয়েকদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হল বেঙ্গল সাফারির (Bengal Safari) শচীনের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলেই মৃত্যু হয়েছে বছর বারোর চিতাটির। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দেহের নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতায়।
২০১৭ সালে সাফারি খুললে বক্সা থেকে শচীন ও সৌরভকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওই দুজনকে দিয়েই প্রথম শুরু হয় লেপার্ড সাফারি। প্রথম থেকেই একটু বদ মেজাজি ছিল শচীন। ২০১৯ সালে ১ জানুয়ারি এনক্লোজার টোপকে অন্য এনক্লোজারে শচীনের পালিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পরে গিয়েছিল। তাকে খুঁজে বের করতে লক্ষ্মী, উর্মিলা ছাড়াও আরও দুটি হাতিকে দিয়ে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছিল সাফারি পার্ক। যদিও তিনদিন পর লেপার্ড এনক্লোজারের পাশে থেকেই উদ্ধার হয়েছিল শচীন। সেজন্য অবশ্য তাকে শাস্তি হিসেবে এক মাস একা নাইট শেল্টারে কাটাতে হয়েছিল। পরে সাফারি চালু হলেও কোন ঝুঁকি না নিয়ে শচীনকে একটু নজরে নজরে রাখত পার্ক কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ৩-৪ দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে চিতাটি। শুরু হয় চিকিৎসা। আলাদা জায়গায় সরিয়ে রাখা হয়েছিল শচীনকে। পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, চারদিনে শচীনকে ১১ বোতল স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। পার্কের পশু চিকিৎসক নিক দোলে-সহ দার্জিলিং চিড়িয়াখানার চিকিৎসক জয় দে এবং কালিম্পংয়ের পশু বিশেষজ্ঞ দীপক শর্মাকেও শচীনের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনজন চিকিৎসক মিলে লাগাতার পরীক্ষানিরীক্ষা করছিলেন। রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছিল। এরপর শনিবার সন্ধেয় মৃত্যু হয় তার।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল, বন্যপ্রাণ বিনোদ যাদব বলেন, “শচীনের বয়স হয়েছিল ১২ বছর। শেষ তিন-চার দিন ধরে অসুস্থ ছিল। বয়সজনিত কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, শচীনের মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা কলকাতার ২ টি জায়গায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে কারণ। উল্লেখ্য, করোনা কালে অল্প কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আনলক পর্যায়ের শুরুতেই খুলে দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গল সাফারি। শচীন-সৌরভের পাশাপাশি নানা প্রাণী দেখতে পশুপ্রেমীদের ভি়ড় লেগেই থাকত সেখানে।