শুধু টেস্টই নয়। এ বারের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা অর্থাৎ, যারা আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেবে, তাদের প্রি-টেস্টও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে শহরের স্কুলগুলি। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিক দেয়নি। কারণ, করোনার জন্য ২০২১ সালে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক— দু’টি পরীক্ষাই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকই হতে চলেছে তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভয় না পায় অথবা আতঙ্কিত না হয়ে পড়ে, সে কারণেই টেস্টের পাশাপাশি প্রি-টেস্টও গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হবে।
যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের ইতিমধ্যেই প্রি-টেস্ট হয়ে গিয়েছে। টেস্ট হবে নভেম্বরে। তবে এ বার অতিমারির কারণে শিক্ষাবর্ষ দেরিতে শুরু হওয়ায় পুরো সিলেবাসের উপরে প্রি-টেস্ট হয়নি। যদিও টেস্ট দিতে হবে পুরো সিলেবাসের উপরেই।’’ অমিতের মতে, এই পড়ুয়ারা মাধ্যমিক না দেওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে কারও কারও আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকতে পারে। মূলত তা পূরণ করতেই প্রি-টেস্টের উপরে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মিত্র ইনস্টিটিউশনের ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান, তাঁদের স্কুলে দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা চলাকালীনই আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রি-টেস্ট নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, ‘‘গত বছর না হলেও আগামী বারের উচ্চ মাধ্যমিক কিন্তু হবে পুরো সিলেবাসের উপরে। তাই পড়ুয়াদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আগে এই প্রি-টেস্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্য এ বার ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছি।’’
কিছু স্কুল জানিয়েছে, তাঁরা এখনও প্রি-টেস্টের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না করলেও পুজোর আগেই তা নিয়ে নিতে চাইছে। বেহালা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস বেরা এবং সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগ জানান, পুজোর বেশি দিন বাকি নেই। তাঁদের পরিকল্পনা আছে দ্বাদশের প্রি-টেস্ট পুজোর আগেই শেষ করে ফেলার। নভেম্বর মাসে হবে টেস্ট।