আরও একটি পালক জুড়ল বিশ্বভারতীর মুকুটে। ‘দ্য সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’-এ রাজ্যস্তরে তৃতীয়স্থানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (visva bharati university)। ঠিক তার তার আগে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে র্যাঙ্কিংয়ে এই প্রথম বিশ্বভারতীর নাম উঠে এল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে সেখানে বিশ্বস্তরে বিশ্বভারতীর জায়গা করে নেওয়ার খবরে খুশি আশ্রমিক, ছাত্রছাত্রী, কর্মী এবং অধ্যাপকরা। সারা বিশ্বের দু’হাজার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই মান নির্ধারণ করে থাকে ‘দ্য সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভারসিটি র্যাঙ্কিং’।
২০২১-‘২২ সালে এই র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের ৬৮টি প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আহমেদাবাদ) রয়েছে প্রথম স্থানে। ১৮ তম স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU), ২০ নম্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (CU) এবং ২১তম স্থান দখল করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয়তে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU), তৃতীয় স্থানে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) এবং চতুর্থ স্থানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বস্তরে বিশ্বভারতীর র্যাঙ্কিং ১১০২।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-২০১৯ সালে এই র্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বিশ্বভারতী ছিল না। ‘দ্য সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’-এ বিশ্বভারতীর সর্বভারতীয় স্তরে র্যাঙ্ক রয়েছে ২১। রিসার্চ পারফরম্যান্স র্যাঙ্কে বিশ্বভারতীর থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা এগিয়ে থাকলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে রয়েছে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী অনিল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নোবেল চুরির পর থেকে একের পর এক ঘটনায় বিশ্বভারতী কালিমালিপ্ত হয়েছে। সেখানে বিশ্বস্তরে বিশ্বভারতী যে র্যাঙ্ক করছে তা গর্বের বিষয়।’’ এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে বিশ্বভারতীর সার্বিকমান বেড়েছে। বিশ্বভারতীর পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বস্তরে বিশ্বভারতীতার জায়গা আবার ফিরে পাচ্ছে।’’