ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের আবহে বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল জ্বালানি তেলের দাম। এরই মাঝে রাশিয়ার জ্বালানি তেলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড গতিতে ছুটতে থাকে তেলের দাম। তবে নির্বাচনের আবহে ভারতে অপরিবর্তিতই ছিল পেট্রল-ডিজেলের দাম। তবে নির্বাচন শেষ হতেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে জ্বালানি তেলের দাম হুহু করে বাড়তে পারে দেশে। তবে আপাতত এই ভয় দূর হয়েছে। কারণ অনেকদিন পরে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের নিচে নেমেছে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম।
এই মাসের শুরুতেই অপরিশোধিত তেল ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। প্রতি ব্যারেলে দাম ১৩৯ ডলার পৌঁছে যায়। তবে শান্তি আলোচনার মাঝে অপরিশোধিত তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। তা সত্ত্বেও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলে সস্তায় তেল কেনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করেছে ভারত। ভারতের ৫৩ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেলের কৌশলগত মজুদ রয়েছে। যা ৯.৫ দিনের ব্যয়ের সমান।
এদিকে জানা গিয়েছে, রাশিয়া ভারতকে সস্তায় তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। এই আবহে ভারত সেই তেল কিনতে পারে বলেও জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে মস্কোর যে রেষারেষির মাঝে তেলের খদ্দের পাচ্ছে না রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে রাশিয়া তেল বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও আধিকারিক স্তরে এই বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করেননি এখনও। এমনিতে ৮০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে এর মধ্যে মাত্র দুই থেকে তিন শতাংশ তেলের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল থাকে নয়াদিল্লি। তবে রাশিয়ার প্রস্তাবের পর রাশিয়ার থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। যা ভারতের কোষাগারের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দিতে পারে।