করোনা (CoronaVirus) মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে যাতে অর্থ সংকটের সম্মুখীন না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্যগুলির প্রাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। শুধু তাই নয়, এই অর্থ বরাদ্দ করার আগে আগের বছরের বরাদ্দের ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ও খতিয়ে দেখা হয়নি। অর্থাৎ, আগের বছরে বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে বরাদ্দ অর্থ সঠিকভাবে খরচ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে না দেখেই নতুন করে এই অর্থ বরাদ্দ হল।
শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যগুলির বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের প্রথম কিস্তির ৮ হাজার ৮৭৩.৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। সব রাজ্যই এখন থেকে নিজেদের জন্য বরাদ্দ এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই বরাদ্দের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ হাজার ৪৩৬.৮ কোটি টাকা রাজ্যগুলি ব্যবহার করতে পারবে শুধু করোনা মোকাবিলার জন্য। এই অর্থ দিয়েই হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, ভেন্টিলেটর কেনা, থার্মাল স্ক্যানার এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরামর্শ মেনেই আগেভাগে বিপর্যয় মোকাবিলা খাতের এই টাকা রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। সাধারণত, এই অর্থ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয় জুন মাসের শুরুতে। কিন্তু এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একমাস আগেই অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। শুধু তাই নয়, আগেরবারের বরাদ্দ অর্থ কীভাবে খরচ হয়েছে, সেটা খতিয়েও দেখা হয়নি।
প্রসঙ্গত, করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) কেনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির নানারকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। একই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে কেন কেন্দ্রের দ্বিগুণের বেশি টাকা খরচ করতে হবে? সে প্রশ্নে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধেছে বহু রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টেও এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। এসবের মধ্যেই নির্মলা সীতারমণদের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা চাপ কমালো কেন্দ্রের উপর থেকে।