রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ নিয়ে আরও এক ধাপ এগোলো কেন্দ্রীয় সরকার। আলোচনা শুরু হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নরের সঙ্গে। এমনটাই জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শশীকান্ত দাস৷ তিনি জানান, আমরা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করছি। আরবিআই-এর গভর্নরের মতে, একটি সুস্থ ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র এবং শক্তিশালী মূলধনের ভিত্তি ও নীতি প্রশাসনের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত৷
আরবিআই গভর্নর আজ জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বিনা বাধায় চালিয়ে যাওয়া উচিত৷ তিনি বলেন, ‘আরবিআই-এর আগামী ২০২২ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যাতে নিম্নমুখী না হয়, সেই দিকে নজর দিচ্ছে৷ ২০২২ অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ১০.৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে৷ ভারতের আর্থিক স্থিতিকে উন্নত করতে আরবিআই সবরকমের নীতিকে প্রয়োজনে হাতিয়ার করবে বলে জানান শশীকান্ত৷ তিনি বলেন যে, গ্রাহকদের আরও ভালোভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
মূলত, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ এর বাজেট উপস্থাপনের সময় দুটি সরকারী ব্যাংক এবং একটি সাধারণ বীমা সংস্থার বেসরকারীকরণের প্রস্তাব করেছিলেন।পরিষেবাগুলি আরও ভাল সরবরাহের জন্য এবং আর্থিক খাতে উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, আরবিআইয়ের গভর্নর এই প্রস্তাবকে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।তিনি বলেছিলেন, “আরটিজিএস এবং এনইএফটি সুবিধা এখন 24 ঘন্টা পাওয়া যায়। আরটিজিএসে বিভিন্ন মুদ্রায় লেনদেন করার ক্ষমতা রয়েছে।এর পরিধি ভারত ছাড়িয়েও বাড়ানো যায় কিনা তার সম্ভাবনা বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।একটি সুস্থ ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র এবং শক্তিশালী মূলধনের ভিত্তি ও নীতি প্রশাসনের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত৷
প্রসঙ্গত, ভারত সরকার ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলির সংস্কারে বেশি করে নজর দিচ্ছে৷ বেশ কিছু ব্যাঙ্কে নন-পারফর্মিং সম্পদের ভার অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে৷ বিশেষ করে মহামারীর সময়ে এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে৷ তবে, গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আশ্বস্ত করেছিলেন, সব ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের আওতায় আনা হচ্ছে না৷ এমনকি যখনই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হবে৷