অ্যাকাউন্ট অ্যাগ্রিগেটরের মাধ্যমে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় যুগান্ত এসেছে। মানুষের আর্থিক তথ্যের একটি ড্যাশবোর্ড হতে চলেছে অ্যাকাউন্ট অ্যাগ্রিগেটর। এর মাধ্যমে মানুষকে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক যাবতীয় রেকর্ডের ওপর আরও বেশি অ্যাক্সেস এবং নিয়ন্ত্রণ দেবে। ভারতে ওপেন ব্যাঙ্কিং চালু করার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। এই ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ আশাবাদী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এডিটর-ইন-চিফ আর সুকুমারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে মুখ খোলেন অর্থমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি এবং মধ্যবিত্তরা এর থেকে লাভবান হবেন। আমরা সবাই ডেটা গোপনীয়তা সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। যতদিনে ডেটা গোপনীয়তা সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি আইন আসছে, আমার মনে গ্রাহকদের আমরা এই ভাবে কিছুটা হলেও আস্বস্ত করতে পারব। যেভাবে মানুষ অ্যাকাউন্ট অ্যাগ্রিগেটরের বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে, তাতে আমার মনে হয় যে মানুষ বুঝতে পারছেন যে এটি কীভাবে পুরো ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই কিছুটা ধাক্কা তো দিতেই হবে। যেকোনও ছোট ডিজিটাল বদলের ক্ষেত্রে একটু ধাক্কা প্রয়োজন। গত একবছর ধরে ইউপিআই পেমেন্ট নিয়েও সরকার ধাক্কা দিয়ে চলেছে আর তার ফলেই ইউপিআই পেমেন্ট ক্রমেই বা়ডছে দেশে। এখন আমরা ইউপিআই-কে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও ছড়িয়ে দিচ্ছি। তবে হ্যাঁ, গোপনীয়তা সুরক্ষা সংক্রান্ত আইন বা পরিকাঠামো আরও পোক্ত করতে হবে।’
নির্মলা সীতারমনের মতে, এই বিষয়ে সবার মতামত গ্রহণ করে এগোতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে হবে। তাদের বাইপাস করা যাবে না। যদি স্টেকহোল্ডারদের বোর্ডে আনা হয়, যদি তাদের ইনপুটগুলি আইনকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহার করা হয় তাহলে যখন সেই আইন পাশ হয় তখন আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আমি মনে করি না যে এতে কোনও বিলম্ব হবে। যত বেশি পরামর্শ, তত ভালো। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’