জম্মু-কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিএসপি দেবেন্দর সিংয়ের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া হিজবুল জঙ্গী নাভিদ ওরফে বাবুর জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য | ভেঙে যাওয়া জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভার এক বিধায়কের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার | উত্তর কাশ্মীরে হিজবুলের কাজকর্ম মসৃণভাবে চলার জন্য তিনি নাকি নাভিদকে ফার্ম খোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন | নাভিদকে জেরা করে এই বিস্ফোরক তথ্য ছাড়াও নীচু তলায় জঙ্গী সংগঠনের জন্য কাজ করা অনেক লোককে ধরতে সক্ষম হয়েছে এনআইএর আধিকারিকেরা |
পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে নাভিদের ভাইকেও | প্রসঙ্গত, আগের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় তিনজন নির্দল বিধায়ক ছিলেন | যাদের মধ্যে একজন সিপিআইএম সমর্থিত থাকলেও বাকিরা আক্ষিরক অর্থেই নির্দল ছিলেন | সেই দুজন প্রথমে সাজিদ লোনের দলের সঙ্গে কাজ করা কথা ভাবলেও পরে লোন বিজেপি ঘেঁষা অবস্থান নেওয়ায় তারা দূরে চলে যায় | এই দুজন পরে নিজেরাই ছোট একটি ফ্রন্ট তৈরি করে | নাভিদের বয়ানের পর নজরে এই দুই নির্দল বিধায়ক | যদিও নাভিদ হিজবুলে ঠিক কি দায়িত্বে ছিল তা নিয়ে এনআইএর কাছে একাধিকবার বয়ান বদলেছে নাভিদ | তাদের দলের মীরই ছিল কিংপিন সেকথা অবশ্য স্বীকার করেছে এই জঙ্গী | নাভিদ জানিয়েছে, কাশ্মীরের অসম্ভব ঠান্ডার সময় তারা উত্তর কাশ্মীর থেকে চন্ডীগড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকতো |
উত্তর কাশ্মীরের পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা জায়গায় তারা পুলিশের থেকে আত্মগোপন করে থাকার কথাও জেরায় স্বীকার করেছে নাভিদ| নির্দল বিধায়কের জঙ্গী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার নাভিদর দাবি যদি সত্যি প্রমাণ হয় এনআইএর তদন্তে , তবে তা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট উদ্বেগের | বিধানসভায় গুরুত্ব পূর্ণ ও গোপন নানা তথ্য সেক্ষেত্রে জঙ্গী সংগঠনের হাতে যে পাচার হয়ে যায়নি তা কে বলতে পারে ? নির্বাচিত প্রতিনিধিদের যদি এই স্বদেশ প্রেমের নমুনা হয়, তারপরও কি ৩৭০ বিলোপ নিয়ে প্রশ্ন করবে উদারপন্থী ও ডানপন্থীরা ,প্রশ্ন উঠছে |