পূর্ব অংশ ~~~দ্বিতীয়~~~ ।। বিশালাক্ষী স্বরূপা বঙ্গের মাতা ঠাকুরানী ও বঙ্গেশ্বরী বিজয়া।। তপ্ত কাঞ্চন বর্ণা বঙ্গেশ্বরী দেবী দ্বিভুজা ।ডান হাতে ছুরিকাসদৃশ খড়্গ ,বাম হাতের রুধির পাত্র, ত্রি নয়না দেবী এলোকেশী; তবে শিরোপরি মুকুটশোভিতা। দেবী বঙ্গেশ্বরী বিশাল লোচনী নন। চোখ দুটো টানা টানা অপূর্ব সুন্দর।পদতলে শায়িত মহাকাল, অহিভূষন মহাকাল শ্বেতশুভ্র ,পরনেRead More →

(পূর্ব অংশের পর) অবশেষে সেই বন্দি বীর বান্দা সিং বাহাদুরকে ৯ ই জুন ১৭১৬ … লৌহ শৃঙ্খলিত করে দিল্লির দরবারে উপস্থিত করা হল…তখনও বান্দার চিত্ত ভয়শূন্য, বীরের ন্যায় উন্নত শির, মাথায় কেশরী পাগড়ি…হুঙ্কার দিলেন ” জয় গুরু জীর জয়..”ইতিমধ্যেই সাতশো তাজা শিখ নিজ ধর্ম ও কর্ম রক্ষার হেতু প্রাণ বলিদানRead More →

~~~প্রথম~~~ ।। বোমনগরের কথা।। বঙ্গেশ্বরী বিশালাক্ষী সদৃশা, চন্ডী স্বরূপা আদ্যাশক্তি মহামায়া । বহিরঙ্গে তিনি দুর্গার রূপভেদ । আবার পুজোর সময় তিনি রাজবল্লভী নামে সম্বোধিতা হন। রাজবল্লভী ও বঙ্গেশ্বরী দুই অঙ্গে একই রূপ বা দুই ভগিনী স্বরূপা। দেবীর নাম করন একান্ত মৌলিক। হুগলি জেলার অন্য অন্য দেব-দেবী সন্ধান পাওয়া যায় নাRead More →

(পূর্ব অংশের পর) ।।১১।। ১৭১৩ সাল, দিল্লির সলতানতে তখন ফারুক শিয়ার, এদিকে গুরুদাসপুর নোঙ্গলের বাতাসে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল। নানা স্থান থেকে স্বাধীনতা যোদ্ধাগন আসতে লাগলেন গুরুদাসপুর নোঙ্গলে যুদ্ধে আহুতি দেবার নিমিত্ত।মুঘল সেনা বাহিনী গুরুদাস পুরকে নজরবন্দি করেছিল কিন্তু আনন্দলোনের অগ্নিকে নষ্ট করতে পারে নি। ছত্রপতি শিবাজীর মত বান্দা বাহাদুরRead More →

নারদীয় পুরাণের যুগে সোমবংশে বর্ষকীর্তি নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি কয়েক হাজার বছর ধরে বেশ আয়েশেই রাজত্ব করছিলেন। দীর্ঘদিন নিষ্কণ্টক রাজত্ব করলে যা হয়, রাজার মনে অহংকার আসে। আর এই অহংকারই তাঁকে বিপথে নিয়ে যায়, বেপরোয়া করে তোলে। বর্ষকীর্তির ক্ষেত্রও সেটাই ঘটল। তার ওপর বর্ষকীর্তি রাজা হিসেবে খুব যে একটাRead More →

​ভারতবর্ষের সর্বমান্য ও অন্যতম প্রধান ধর্মসংস্থান শৃঙ্গেরী পীঠের জগদগুরু শংকরাচার্য্য ‘রাহু’ল গান্ধী এবং কর্ণাটকের বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে তাঁর আশীর্বাদ দিতে অস্বীকার করেছেন । শঙ্করাচার্য্য তাদের বলেছেন, “আপনারা মঠে এসেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ । কিন্তু আপনারা আজ যে সব কাজ করছেন, তার পরেও আমি আপনাদের আশীর্বাদ দিতে অক্ষম । বৈঠক চলাকালীন,Read More →

(পূর্ব অংশের পর) ।।৯।। সরহিন্দ যাবার পূর্বে চপ্পরচিড়ি নামক একটি স্থান অতিক্রম করতে হত। এখান থেকে সরহিন্দ কুড়ি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেই চপ্পরচিড়ি নামক স্থানে বান্দা সম্মুখ যুদ্ধে উপস্থিত হলেন তার চরম শত্রু বজির খানের বিরুদ্ধে। ১৭১০ সালের ১২ ই মে ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ যোগ্য দিন হয়ে থাকল। চপ্পড়চিড়ির যুদ্ধRead More →

(পূর্ব অংশের পর) ।।৭।। কথিত আছে, একদা সৌদরা থেকে কিছু দরিদ্র, পীড়িত , নিপীড়িত জনগন বান্দা সিং বাহাদুরের নিকট জমিদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসেন। বান্দা তাদের অভিযোগ শুনলেন। তিনি দেখলেন মানুষ গুলো নানা মানসিক, শারীরিক ও অর্থনৈতিক অত্যাচারে জীর্ণ শীর্ণ। কোনো প্রকারে পৃথিবীর ভার বয়ে চেলেছেন। বান্দা মনে মনে বড়Read More →

(পূর্ব অংশের পর) ।।৫।। পাঞ্জাবে মুগলদের বৃহৎ ক্ষমতা ছিল দুই বড় কেন্দ্র সরহিন্দ এবং লাহোর। সরহিন্দ এর নবাব ছিলেন বজির খান। সে অতীব দুষ্ট, অত্যাচারী ও ক্রুর ব্যক্তি ছিল। ১৭০৫ সালে ২৬ শে ডিসেম্বর গুরু গোবিন্দ সিং জির দুই নাবালক পুত্র বাবা ফতে সিং ও বাবা জোহার সিং কে দেয়ালেরRead More →

(পূর্ব অংশের পর) ।।৩।। এতদিন যে লড়াই রাজস্থানের ধূসর মরুভূমিতে লড়া হচ্ছিল তা পাঞ্জাবের মধ্যে সঞ্চারিত হল। মুঘল বংশ যত পুরুষের পর পুরুষ এগতে লাগল , তত তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়ছিল। ১৬৫৮ সালে আওরঙ্গজেব মুঘল সিংহাসন আরোহণ করে। এই সময় কিন্তু ভারতের ধর্মীয় ডেমোগ্রাফি গোঁড়া সুলতানের হাতে পড়ে ভয়ঙ্করRead More →