কালচক্রের গতি দ্রুত ঘুরে চলেছে। ঘুরতে ঘুরতে ফিরে যাচ্ছে পেছনের দিকে। পেছনে! অনেক পিছনে! ইতিহাসের পৃষ্ঠা আমাদের নিয়ে যায় ত্রেতাযুগে। হাজার হাজার বছর আগে কথা..! এই ত্রেতাযুগে একটি বিশাল ভূমি যা আর্যাবর্ত নামে পরিচিত। এটি মানব সংস্কৃতির একটি উন্নত ক্ষেত্র। এটি একটি সম্বৃদ্ধ দেশ। যে সমাজ উদাত্ত এবং মহৎ মানবিকRead More →

শ্রী রামের আদর্শে রাষ্ট্রগঠনের প্রক্রিয়া আর মার্ক্সবাদীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজকে ভাঙা-গড়ার তত্ত্ব সম্পূর্ণ বিপরীত চিন্তা। একদিকে কর্তব্য, ন্যায়পরায়ণতা, ত্যাগ ইত্যাদি ভারতীয় আদর্শকে সামনে রেখে শ্রদ্ধা-ভক্তির মাধ্যমে সমাজ জাগরণ আর অন্যদিকে অর্থকে কেন্দ্র করে সমাজে কড়াই গন্ডাই হিসাব বুঝে নেওয়ার অধিকারের দাবিতে শ্রেণী সংগ্রামের মাধ্যমে সমাজের পুনর্গঠনের তত্ত্ব।একদিকে সহস্রবছর ব্যাপি ভারতীয়Read More →

১৮৩৫ সালে ভারতবর্ষে রূপায়িত হল মেকলে-প্রসূত ও প্রবর্তিত ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা। এটি খ্রিস্টীয়করণের পথে ঔপনিবেশিক ভারতে মানস-দখলের পরিকল্পনা। ঠিক পরের বছরই সেই ছন্দপতন! ১৮৩৬ সালে যে হিন্দু মনীষীর জন্ম, ১৮৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি বিকেল তিনটেয় তিনিই তাদের প্রথম দিনটি ঐশী সৌন্দর্যে দখল করে নিলেন। তারপর ১৮৮৬ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর আঁটপুরেRead More →

অটলবিহারী তিনিই যিনি ব্রহ্মবিহারী। নিজের মধ্যে অন্যের জন্য মৈত্রী পোষণ করেন। যাঁর দেশপ্রেম অটল ও অটুট। যিনি পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন। যাঁর মধ্যে সনাতনী সংস্কৃতির মোক্ষ-রঙের সৌকর্য। যাঁর হাতে আধুনিক ভারতবর্ষের ভিত্তি নির্মাণ। তিনি দেশের দশম প্রধানমন্ত্রী: এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক, সুভদ্র সুশাসক। দেশব্যাপী তাঁর জন্মশতবর্ষ পালিত হচ্ছে। একশো বছর আগের কথা।মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রRead More →

মা-টি। তিনিই মা, তিনি বসুন্ধরা-ধরিত্রীর সুবিস্তীর্ণ গর্ভ। মাটির গর্ভে ফসলের জন্ম, তাই তিনি গর্ভধারিণী। মৃত্তিকা জননীর নিভৃত নিলয়ে সৃষ্টি ও বিকাশের অব্যাখ্যাত ও অব্যাহত গতি চিরকালীন। সুতরাং মাটিও মা; ফসল নিয়ে আবির্ভূত পৃথিবী এক মাতৃদেবী। মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা থেকে প্রাপ্ত মাতৃদেবী-মূর্তি ভারতবর্ষের মাতৃমূর্তির প্রাকরূপ; তা ছিল পৃথিবী মূর্তি — সেখানে একটি মূর্তিরRead More →

দেবীপক্ষের শেষ পূর্ণিমাতে অর্থাৎ আশ্বিন মাসে দুর্গা পূজার পরের পূর্ণিমা তিথিতে বাঙালির ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজিতা হন।ধনসম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবীরূপে মা লক্ষ্মীর আরাধনা হয়।শস্য সম্পদের দেবী হিসেবে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীপূজার বিধান থাকলেও বাঙালি সমাজে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাই সর্বাধিক প্রচলিত।‘কোজাগরী’ শব্দের উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ অর্থাৎRead More →

আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং মঞ্চে উপস্থিত শ্রদ্ধেয় শ্রী শঙ্কর মহাদেবন কী, মাননীয় সরকার্যবাহজী, বিদর্ভ প্রান্তের মাননীয় সংঘচালক, নাগপুর মহানগরের মাননীয় সংঘচালক, অন্যান্য কার্যকর্তাবৃন্দ, সজ্জন নাগরিকবৃন্দ, মাতৃমণ্ডলী, এবং প্রিয় স্বয়ংসেবক বন্ধুরা। মানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে মানবতার বিষয়কে চিহ্নিত করতে আমরা প্রতি বছর বিজয়াদশমী উদযাপন করি। এই বছর এই উৎসব গর্ব, আনন্দRead More →

“সব জানবি ঘোর তমোভাবাপন্ন — full of morbidity! তাই বলছি দেশটাকে এখন তুলতে হলে মহাবীরের পূজা চালাতে হবে,শক্তিপূজা চালাতে হবে,শ্রীরামচন্দ্রের পূজা ঘরে ঘরে করতে হবে।তবে তোদের ও দেশের কল্যাণ।নতুবা উপায় নেই।”(উদ্বোধন প্রকাশিত ‘স্বামি-শিষ্য-সংবাদ’,শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী,পূর্ব ও উত্তর কাণ্ড,Aug 2017 পুনর্মুদ্রণ,পৃ:১৫৪)।স্বামীজির শ্রীরাম-সাধনার কথা বলবো।আমরা হয়তো অনেকেই জানি না শ্রীরামকৃষ্ণদেবের গৃহদেবতা ছিলেন রঘুবীর,অর্থাৎRead More →

কথামৃতে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলছেন, “দয়ানন্দ বাঙলাভাষাকে বলত ‘গৌড়াণ্ড ভাষা’।” ‘গৌড়’ ছিল বাঙ্গালা দেশের অন্যতম নাম। মহাভারতে ‘গৌড়’ নামটি পাওয়া যায়, অবশ্য ‘বঙ্গ’ নামটিও পাই। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে ‘গৌড়পুর’ কথাটি আছে। হয়তো গুড়ের দেশ ব’লেই নামটি ‘গৌড়’। মধ্যযুগের বাঙ্গালায়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ‘গৌড়িয়া’ শব্দটি ব্যবহৃত হত, জানিয়েছেন ড. সুনীতিRead More →

মহালয়া থেকেই কলকাতার বিভিন্ন থিমের পুজোর দেখার জন্য ভিড় জমে রাস্তায়। তবে শুধুমাত্র পুজো প্যান্ডেলই নয় কলকাতার পুজোর মধ্যে শামিল বনেদি বাড়ির পুজোও। এইসব বাড়ির পুজোগুলি বেশি জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও প্রতিটি বাড়িই বহন করছে নিজ নিজ ইতিহাস ও পরম্পরা। সাবেকি বাড়ির  মধ্যে অন্যতম হল বেহশুধু দুর্গা পুজোই নয় রায় বাড়িরRead More →