ট্যাংরার ঘটনায় আরও গড়াল জল। ট্যাংরায় গৃহবধূকে অপহরণের অভিযোগ ও তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে শ্বশুরের মৃত্যুর ঘটনায় এবার নয়া মোড়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস দাবি করেছে যে, দুর্ঘটনা ঘটলেও মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তোলার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনায় আরও তথ্য ও বয়ান সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিস সূত্রে আরও খবর, ওই মহিলা পুলিসকে ভুয়ো অভিযোগ করে থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই এবার পুলিসের সঙ্গে প্রামাণিক পরিবারের সংঘাত বাঁধল। গোপাল প্রামাণিকের পরিবারের দাবি, যেভাবে রক্তাক্ত এবং অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোপাল প্রামাণিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাতে তাঁর পক্ষে পুলিসের সামনে কিছু বলা বা তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কার্যত অসম্ভব। তাহলে কীসের ভিত্তিতে সেই বয়ানের উপর ভিত্তি করে পুলিস জানাল যে, প্রিয়ঙ্কা প্রামাণিকের হাত ধরে টানাটানি বা অপহরণের চেষ্টা হয়নি? কীসের ভিত্তিতে পুলিস সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল যে তিনি মিথ্যা বলছেন
অভিযোগকারিণী প্রিয়ঙ্কা প্রামাণিক দাবি করেছেন, তিনি সাধারণ পরিবারের গৃহবধূ । তাঁর পক্ষে নিজের মানসম্মান বাজি রেখে এরকম একটা মনগড়া অভিযোগ করা অসম্ভব। কীসের ভিত্তিতে পুলিস অভিযোগকারিণীকেই মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিল? তাতে ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার।