প্রথম ভারতীয় ফেন্সার হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন, ইতিহাস ভবানী দেবীর

ভারতীয় ক্রীড়াজগতের জন্য সুখবর। প্রথম ভারতীয় ফেন্সার হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympic) খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) সিএ ভবানী দেবী। হাঙ্গেরিতে (Hungary) অনুষ্ঠিত ফেন্সিং বিশ্বকাপের মাঝেই অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন তিনি। এর আগে ভারতের কোনও ফেন্সার বিশ্বের সবচেয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যোগ্যতা অর্জন করেননি।

চলতি ফেন্সিং বিশ্বকাপের উপর নির্ভর করে আগামী ৫ এপ্রিল প্রকাশিত হবে নতুন র‍্যাঙ্কিং। এশিয়া-ওশিয়ানিয়া বিভাগে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বরাদ্দ ছিল মাত্র দু’টি স্থান। তার মধ্যে একটি স্থান দখল করেছেন কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনাজয়ী এই স্যাব্রে ফেন্সার। অ্যাডজাস্টেড অফিসিয়াল র‍্যাঙ্কিং ( Adjusted Official Ranking) অনুযায়ীই টোকিওর টিকিট নিশ্চিত করলেন চেন্নাইয়ের তরুণী। আসলে ফেন্সিং বিশ্বকাপে দলগত বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় হাঙ্গেরি। সেমিফাইনালে ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া। এর ফলে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৪৫ নম্বর স্থানটি পেয়ে যান ভবানী দেবী। আর তার সৌজন্যেই এবার অলিম্পিকের টিকিটও অর্জন করে ফেললেন।

একদম সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা ভবানীর বাবা একজন পুরোহিত। তাঁর সামান্য আয়ে ফেন্সিংয়ের মতো খরচসাপেক্ষ ইভেন্টে অংশ নেওয়া তাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু ভবানীর জেদ, একাগ্রতা এবং লড়াই অলিম্পিকের দরজা খুলে দিল তাঁর সামনে। এর আগে আট বার জাতীয় ফেন্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভবানী। কিন্তু অলিম্পিকের ছাড়পত্র পাননি।

এ বার করোনার মাঝেও তাই নিজের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাননি। একেবারে নিভৃতে ট্রেনিং চালিয়ে গিয়েছেন। যার ২০১৬ রিও অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর ইতালির প্রশিক্ষক নিকোলা জানোত্তির সঙ্গে কঠিন অনুশীলনে ডুবে গিয়েছিলেন। টোকিওকে পাখির চোখ করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। আর তার ফলও হাতেনাতেই পেলেন ভবানী। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ। সাই থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুও টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভবানীদেবীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.