ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান ব্যক্তিকে কবরস্থানে জায়গা দিতে অস্বীকার চার্চের, হিন্দু মতে শেষকৃত্য করলো পরিবার

এক ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান ব্যক্তিকে কবরস্থানে কবর দিতে অস্বীকার করল চার্চ কতৃপক্ষ। শেষপর্যন্ত হিন্দু মতে ওই মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য করলো তাঁর পুত্ররা। ঘটনা ঝাড়খণ্ডের রাঁচির। কবরস্থানে কবর দেওয়ার কারণ হিসেবে জানিয়েছিল যে কবরস্থানে জায়গা নেই। কিন্তু বাস্তব সত্য সম্পূর্ণ আলাদা।

 রামশরণ তুত্তি রাঁচির থেকে কিছু দূরের ফুড়ি গ্রামের (Furi village) বাসিন্দা। কাজের সূত্রে পুরো পরিবারকে  নিয়ে রাঁচিতে এসেছিলেন ১৫ বছর আগে। তখনই তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করেন সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চে। শুধু তাই নয়, চার্চের প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে নিয়মিত যোগ দিতেন। এমনকি নিজের ও নিজের ছেলেদের হিন্দু নাম পরিবর্তন করে খ্রিস্টান নাম রেখেছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান রামশরণ তুত্তি মারা যান। তখন তার বড় পুত্র ফিলিপ তুত্তি সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চের কবরস্থানে গেলে তাকে জানানো হয় যে কবরস্থানে কবর দেওয়ার মতো জায়গা নেই। তাকে বলা হয় মৃত পিতার দেহ গ্রামে নিয়ে গিয়ে কবর দিতে। 

কিন্তু বাস্তব সত্য কোনটি?

রাঁচির সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চের (St. Francis Church) মাধ্যমে বহু হিন্দু খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। চার্চের নিয়ম হলো এই কোনো মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থানে কবর দিতে গেলে ওই ব্যক্তির পরিবারকে জমি কিনতে হয়। সেই টাকা দান হিসেবে চার্চে জমা করতে হয়। কিন্তু দরিদ্র ওই পরিবারের সেই ক্ষমতা ছিল না। তাই জায়গার অভাবের কথা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। শেষপর্যন্ত মৃতের পুত্র ফিলিপ তুত্তি গ্রামের বাড়িতে পিতার শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমত ফুড়ি গ্রামে পিতার দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ওই পরিবার। তারপরেই পিতার শেষকৃত্য হিন্দু মতে সম্পন্ন করে পরিবার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.