অভিনেতা এবং ব্যবসায়ীরা খোলাখুলিভাবে কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন না। ভারতে এটাই স্বাভাবিক অভ্যাস। তাদের কর্মজীবনে আঘাত করতে পারে এই ভয়ের কারণে তারা প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেন না বলে অনেকের মত।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যা কিছু তাঁদের কাছে সঠিক ও যুক্তি সঙ্গত মনে হয়েছে তার পক্ষে তাঁরা দাঁড়িয়েছেন। বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানায়ত তেমন ই একজন। বলিউডের স্বজনপোষণ বিপক্ষে বলতে কিংবা জাতীয়তাবাদ বিরোধীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হোক সবসময় কঙ্গনা রানায়ত তার বিশ্বাসের উপর আস্থা রেখে ইতিমধ্যে উদাহরণ স্থাপন করেছেন।ভোট দেওয়ার পর আবার এমন মন্তব্য করে তিনি বলেছেন দশক এর পর দশক ধরে ব্রিটিশ ও মুঘলরা শাসন করে ভারতকে ধ্বংস করে দিয়েছিল তেমনি কংগ্রেসের সরকার ও ভারতের উন্নয়ন কে আটকে দিয়েছিল।
আগে ভারত ব্রিটিশ, মুঘল ও ইতালীয় সরকারের ক্রীতদাস ছিল বলে উল্লেখ করে কঙ্গানা রানৌত বলেন, “আমার মনে হয় ভারত প্রকৃত অর্থে এখন তার স্বাধীনতা অর্জন করেছে”। তিনি ভোটকেন্দ্রে নিজেদের স্বশাসনের অধিকার ব্যবহার করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন “কংগ্রেস শাসনের সময় আমাদের দেশ তার সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে ছিল। তার চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না “।
এই প্রথম তিনি কোন দৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করলেন না।
এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর কাজ প্রশংসার করে বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্রের যোগ্য প্রার্থী এবং যোগ্য নেতা। তিনি তার পিতামাতার কারণে এই স্থানে পৌঁছেছেন তা নয়, তিনি কঠোর পরিশ্রমের কারণে আজ এই স্থানে আসতে পেরেছেন। হ্যাঁ, আগামী বছর তাঁকে ক্ষমতায় আসতে হবে কারণ ৫ বছরের সময়কাল দেশকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে যথেষ্ট নয় “।
দুর্ভাগ্যবশত, কঙ্গনার সাহসী বক্তব্যের জন্য যারা বিরক্ত হয়েছেন তারা উচ্ছৃঙ্খলভাবে তাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছেন। দুঃখের বিষয় এই যে, নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী বলে অভিহিত বলিউডের প্রবীন কেউই তখন কঙ্গনার সমর্থনে এগিয়ে আসেননি।