মাহেশমতী, পদ্মাবত, পাটলিপুত্র হয়ে এবার কেদারনাথ। কলকাতার দুর্গাপুজো মানেই ‘মাস্ট সি’ তালিকায় সবার উপরে নাম থাকবে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের। কী প্যান্ডেল আর কী প্রতিমার আভূষণ, সবেতেই নজরকাড়া লেকটাউনের ভিআইপি রোডের পাশে এই হেভিওয়েট পুজো। প্রতিবারই কিছু না কিছু চমক থাকে পুজোয়। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। দুর্গাপুজোয় করোনার কাঁটা থাকলেও পুজো করতে বদ্ধপরিকর শহরের উদ্যোক্তারা। সেই পথের শরিক শ্রীভূমিও। এবছর কেদারনাথ মন্দিরের আদলে গড়ে উঠবে মণ্ডপ। জানিয়েছেন অন্যতম পুরোধা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস।
করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবার পুজো করার কথা বলছেন উদ্যোক্তারা। সরকারি কোভিড প্রোটোকল মেনেই হবে পুজো, জানিয়েছেন সুজিত বোস। এবছর মণ্ডপসজ্জার পাশাপাশা আলোকসজ্জাতেও কোনও কার্পণ্য করা হচ্ছে না। মন্ত্রী জানিয়েই দিয়েছেন, প্রতি বছর শ্রীভূমির পুজোর সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে। তাঁরা শ্রীভূমির আপনজন। তাঁদের কোনও সমস্যা হোক চায় না ক্লাব। তাই যতই করোনা হোক, শ্রীভূমির ‘শ্রী’ নাম কমিয়েই পুজো করবেন উদ্যোক্তারা। গত বছর মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী সাবেক পাটলিপুত্রকে মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছিল। আলোকসজ্জায় অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল চন্দ্রযানের আদলে রকেট। এবারও অনেক চমক থাকবে বলে জানিয়েছে পুজো কমিটি।
সুজিত বোস জানিয়েছেন, “এবছর কেদারনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হবে মণ্ডপ। আলোকসজ্জাও নজরকাড়া থাকবে। এর পাশাপাশি ক্লাবের তরফে ঠিক করা হয়েছে, পুজোর সময় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে। প্রায় এক লক্ষের মতো মাস্ক বিতরণ করা হবে আশেপাশের এলাকায় এবং ক্লাবগুলিকে। সেইসঙ্গে যাঁরা ঠাকুর দেখতে আসবেন মণ্ডপে তাঁদের স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।” মন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, বাইরে থেকে নয়, করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে মণ্ডপে ঢুকেই ঠাকুর দেখতে হবে। তিনি এও আশঙ্কা করেছেন, করোনার জন্য এবছর হয়তো দূর-দূরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থীই ঠাকুর দেখতে আসবেন না। কিন্তু জাঁকজমকে কোনও কমতি থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। ভিড় যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।