শনিবার উত্তরপ্রদেশের কনৌজে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব। ভাষণে মোদী বলেন, ভোটে বিরোধীরা আমাকে যতই ঠেকাতে চেষ্টা করুক, আমিই ক্ষমতায় ফিরছি। মানুষ আমার পক্ষে আছেন।
কনৌজে ভোট হবে আগামী সোমবার। ২০১৪ সালেও এখানে ডিম্পল যাদব প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিজেপির সুব্রত পাঠক। তিনি মাত্র ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এদিন মোদী ভাষণে বলেন, আমার হয়ে অনেকে প্রচার করছেন। যাঁদের সরকার গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছে, যে মেয়েটির বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হয়েছে, যে লোকটির বাড়ি তৈরি হয়েছে, যে দম্পতির সন্তানেরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছে, যে কৃষকরা ডায়রেক্ট মানি ট্রান্সফারের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা সকলে আমার হয়ে প্রচার করছেন।
বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা চৌকিদারের উদ্দেশে গালমন্দ করেছে। রামভক্তদেরও নিন্দা করেছে। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? বিরোধীরা তো নিজেদের প্রচার করছে, কিন্তু অন্যদিকে সারা দেশ প্রচার করছে চৌকিদারের হয়ে।
এরপর মোদী বলেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ চৌকিদারের হয়ে প্রচার করছেন। কাশীতে এত বেশি লোক পথে নেমেছিলেন যে বিরোধীরা ভয় পেয়ে গিয়েছেন। উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা যে বিপুল সংখ্যায় আমার ভাষণ শুনতে এসেছেন, তাতে বোঝা যায়, ২০১৪ সালের চেয়ে বেশি ভোটে জিতব। তৃতীয় দফায় ভোটের পরে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মোদীকেই ফিরিয়ে আনা হবে।
দেশের সুরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রসঙ্গও ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমার সরকার দেশের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কিন্তু সপা-বসপা জোটের কি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার কোনও কর্মসূচি আছে? সন্ত্রাসবাদ দেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয়। সপা-বসপা মোদীকে এত গালাগালি দেয়, কিন্তু জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কেন কিছু বলে না? তারা স্বপ্ন দেখে প্রধানমন্ত্রী হবে। অথচ দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে না।
বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা কেবল নিজেদের পরিবারের কথা ভাবে। দেশের কথা ভাবে না। কিন্তু নতুন ভারত কাউকে ভয় পায় না। আমরা এখন জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে তাদের মেরে আসতে পারি। একমাত্র তা হলেই দেশ নিরাপদ থাকবে। সপা-বসপা জোট আমাদের ক্ষমতায় আসা আটকাতে পারবে না। আগামী ২৩ মে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তরুণ প্রজন্ম সপা-বসপার সুবিধাবাদী চরিত্র বুঝতে পেরেছে।