হিন্দুদের তথা সারা পৃথিবীর জন্য অমূল্য ধর্মগ্রন্থ গীতার প্রথম অধ্যায়ের নাম ‘অর্জুন-বিষাদ যােগ’। যে অর্জুন অত্যাচারিত ভার্যার লাঞ্ছনার প্রতিশােধ নেবার জন্য পাঞ্চালির কাছে অগ্নিসাক্ষী করে শপথ নিয়েছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে এসেই ধনুর্বাণ ত্যাগ করে রথের উপর বসে পড়লন যুদ্ধে অনেক আত্মীয়স্বজন মরে যাবে এই আশঙ্কায়। বাঙ্গালি হিন্দু কেন, সারা পৃথিবীর অমুসলমানরাই আজ এক নিরাশাবাদী অর্থাৎ নিহিলিস্টিক বা শূন্যবাদী অবসাদে ভুগছে! সবার মধ্যেই আজ অর্জুনের মতাে কনফিউশন বা বিহ্বলতা। কী করব? এখান থেকেই পলিটিক্যাল করেক্টনেস অর্থাৎ রাজনৈতিক বিশুদ্ধতার জন্ম।
স্যার যদুনাথ সরকারের লেখা ‘মােগল যুগে হিন্দুদের যাতনা’শীর্ষক পুস্তিকাটির আদ্যপান্ত পড়ে আমার মনে হয়েছে, সেই ট্র্যাডিশন আজও সমানে চলেছে। আশ্চর্য লাগে হিন্দুরা এত সহ্য শক্তি পায় কোথা থেকে? পুরাকালের মহাঋষি কশ্যপের ভূমি, ভারতের আলেকজান্ডার বিক্রমাদিত্য মুক্তাপীড় ললিতাদিত্যের রাজ্য ও মহাকবি কলহনের রাজতরঙ্গিনীর কাশ্মীর থেকে ৫ লক্ষ হিন্দুকে রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া করল মুষ্টিমেয় জেহাদি সন্ত্রাসবাদীরা!
শ্রীমতী সরলা গঞ্জুকে তার ছাত্ররাই তাঁকে প্রকাশ্য দিবালােকে মাঝ রাস্তায় গণধর্ষণ করে নির্মম ভাবে হত্যা করল। অথচ একজন কাশ্মীরি হিন্দুও হাতিয়ার তুলে প্রতিশােধ নেবার তাগিদ অনুভব করল না? বঙ্গপ্রদেশ আর পঞ্জাবকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা হলাে। সুরাবর্দির নেতৃত্বে ১৯৪৬ সালের দাঙ্গার দলিল, ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ লেখা হলাে, অথচ সেই নরসংহারকারীকে শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালির তালিকায় স্থান দেওয়া হলাে? বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগার চলে এলেন নীচের সারিতে! আজ থেকে ৫০ বছর পরে, বাঙ্গালি হিন্দু বলে আর কিছু থাকবে না! থাকবে শুধু সাদা কাপড়ে ঢাকা বাঙ্গালি মুসলমান স্বাধীন বৃহত্তম বাংলাদেশের সভ্য নাগরিক নাম নিয়ে। আজ বহু বিশ্বাসঘাতক বাংলাদেশি মুসলমান এবং তথাকথিত নামিদামি হিন্দু নামধারীরা নির্দ্বিধায় তাকে সমর্থন জানাচ্ছে। আমার আগের বহু লেখায় ‘বয়েলিং ফ্রগ’ আর স্টকহােম সিনড্রোমের কথা লিখেছি। আজ হিন্দু বাঙ্গালি তথা ভারতীয়ের হৃদয়ে যে নিহিলিস্টিক ডিপ্রেশন চলছে তারই সম্বন্ধে বলব। বয়েলিং ফ্রগ সিনড্রোম’ মানে একটি জীবন্ত ব্যাং-সহ জলপাত্রের উত্তাপ ক্রমশ নিম্ন থেকে উচ্চতর করতে থাকলে এক সময় অনুষ্ণশােণিত প্রাণীটির সহ্য ক্ষমতা অতিক্রম করলে, লাফ দিয়ে পালানাের পরিবর্তে আত্মহত্যার পথটিকেই বেছে নেয়। হিন্দুদের অবস্থাও অনেকটা সেইরকম। স্টকহােম সিনড্রোম’ হচ্ছে, ১৯৭৩ সালে ঘটা সুইডেনের স্টকহােমে জন এরিখ ওলসন এবং ক্লার্ক ওলফসন নামে তুই ব্যাঙ্ক ডাকাত ৩ জন মহিলাকে ব্যাঙ্কের সুরক্ষিত কুঠরিতে ৬ দিন বন্দি করে রাখে। আদালতে দেখা যায়, সেই বন্দিনীরা উদ্ধারকারী পুলিশকে নয় , বরং ওই দুই অপরাধীকেই সমর্থন করছে। অদ্ভুত তাই না, হিন্দুদের দশাও হয়েছে তাই! তাইতাে ইফতার পার্টি হিন্দুরাই দেয়। সেই হিন্দুদের দৃষ্টিতে দরিদ্র হিন্দু হলাে বজ্জাত আর ফেজ টুপিপরা মুসলমান হলাে ভাইজান।
আমরা ১০০০ বছরের দাসত্ব করে এবং নিজেদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে বিদেশি আক্রমণকারী ও অত্যাচারী মুসলমান। আর খ্রিস্টানদের সপক্ষে কথা বলছি। হায়রে হিন্দু বাঙ্গালি !
এবার নিহিলিস্টিক ডিপ্রেশন বা অবসাদের কথা বলি। এই শব্দটা আসে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ফ্রেডেরিকনিৎসে নামের এক জার্মান দার্শনিকের কাছ থেকে। তিনি মনুষ্যজীবনের অস্তিত্বকে মূল্যহীন বলতেন। মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য কী? আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান অথবা দর্শনশাস্ত্র কোনােটাই সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। পাশ্চাত্যদেশের ধনতন্ত্রবাদ বা পুঁজিবাদ বলে ভােগ করাে, যাকে বলে ভােগবাদ বা হেডােনিজম। আবার এর বিপরীত দিকে হচ্ছে আদর্শবাদ বা আইডিয়ালিজম। উগ্র ইসলামিক মজহব বা কট্টর কমিউনিজম বা সাম্যবাদও এক প্রকারের আদর্শবাদ।বুদ্ধবাবুকিংবা ত্রিপুরার মানিকবাবুকীরকম সাদামাটা আদর্শবাদী জীবনযাপন করতেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পাঁচওয়াক্ত নমাজ পড়ার জন্য উড়ন্ত ‘প্লেনের অ্যালের মধ্যে নামাজের ধুমও হলাে অতি উগ্র আদর্শবাদ। এরা বলে এই বিশ্বপ্রকৃতির বাইরে আর কোনাে সত্তা নেই। মানুষের বর্তমানের এই জীবনটাই শেষ কথা। পরলােক বলে কিছু থাকে। না। সুতরাং ভােগ করাে। চুষে নাও, শােষণ কর। একেই বলে টোটালিটারিয়ানিজম বা সর্বগ্রাসবাদ। তাদের কথায় স্ত্রীলােক হলাে উর্বর জমি বা চাষের জমি। কে যেন বলেছিল, ‘জেনানা হলাে জেহাদি তৈরির কারখানা আর মাদ্রাসা হচ্ছে জেহাদিদের আঁতুড়ঘর’। কমিউনিস্টদের শব্দকোষে মহিলা মানেই স্টেট প্রপার্টি। ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা মালিকানা নয়। আব্রাহামিক ধর্মের অন্তর্গত ইহুদি, খ্রিস্ট আর ইসলামে ভােগবাদের উপর নির্ভর করেই তাদের জীবনধারণ। বৈদিকধর্ম অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন বা শিখধর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলিই হচ্ছে, আত্মার অমরত্ব, সকাম ও নিষ্কাম কর্মের ভিত্তিতে পুনর্জন্মবাদ আর জীবনের অন্তিমক্ষণে মােক্ষ বা নির্বাণ লাভ। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা এবং ভােগের বদলে ত্যাগের কথাই বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে। পুরাকালে ভারতবর্ষে চার্বাক দর্শনের সৃষ্টি হয়েছিল যেখানে, যাবজ্জীবেৎসুখং জীবেৎ, ঋণংকৃত্বামৃতং পিবেৎ’ বলা হয়েছে। কে জানে চার্বাক ঋষি চীনে জন্ম নিয়ে কমিউনিজমের সৃষ্টি করেছিলেন কিনা ! বিশেষ করে আত্মঘাতী বাঙ্গালি হিন্দুদের মধ্যে এই অর্বাচীন ইজমের নামে উন্মাদ কিছু লােক ছিলেন যেমন অবনী রায়, হীরেন্দ্রনাথ মুখার্জি ও মােহিত ব্যানার্জির মতাে কমরেডদের নাম সবার আগে মনে আসছে। এরা আবার বিশ্বজুড়ে ইসলামের সদাবাহার প্রেমীও বটে। চীনের উইঘুরে মুসলমানদের উপর কমিউনিস্ট সরকারের জিহাদি-মগজ ধােলাই প্রক্রিয়ায় এনারা কিন্তু নিশুপ থাকেন অজ্ঞাত কারণে।
ভারতে যত ধর্মান্তরিত মুসলমান বা খ্রিস্টান আছেন সকলের পুর্বপুরুষই হিন্দু ছিলেন। ইন্ডিয়া টিভির সাংবাদিক রজত শর্মার আপ কী
আলাদতে আসাদুদ্দিন ওবেসি ও জাভেদ আখতারকে ডাঃ সুব্রমনিয়াম স্বামীর এটাই ছিল চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের জন্মদাতা জিন্নার পূর্বজরা ছিলেন গুজরাটি হিন্দু।‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্তাঁ হামারা’র কবি আল্লামা মহম্মদ ইকবাল ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে এইসব পাষণ্ডী পণ্ডিতের উর্বর জিন এসেছে কিন্তু হিন্দু মাতার ডিম্বাণু থেকেই। তাই ঊষর মরুভূমির দুর্দান্ত দস্যুরা, বেছে বেছে হিন্দু ‘মাই আর গাই’-কেই লাঠ করতাে। কেন তাদের মধ্যে এই সুপ্রিমাসি বা প্রভুত্বের দম্ভ ? পৃথিবীজুড়ে আজ ইসলামসভীতি বা ইসলাম ফোবিয়ার কারণ খুঁজলে দেখা যাবে ১৪০০ বছরের রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া যে জাতি, ধর্মের নামে প্রাচীন ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে, অগ্নিসংযােগ, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের মাধ্যমে নিজস্ব ধর্মের বিস্তার করেছে সেটা কি সত্যি কোনাে মানবসভ্যতার উপযােগী কল্যাণকারী কোনাে মতবাদ নাকি লেনিন-স্টালিনের সাম্যবাদ বাহিটলার-মুসােলিনির ফ্যাসিবাদের মতাে ক্ষণস্থায়ী এক মতবাদ মাত্র?
ইসলামের ভিত্তিতে সর্বত্র নিজেদের এক আলাদা জাতিসত্তা তৈরি করছে আর সেটাই হচ্ছে তাদের মস্তবড়াে ভুল। যে কোনাে দেশে প্রবেশমাত্র, তাদের জন্য সব কিছুই আলাদা হয়ে যাচ্ছে। দেশের মধ্যে দেশ, শহরের মধ্যে শহর, গ্রামের মধ্যে গ্রাম। ভাষার মধ্যে ভাষা, ধর্মের মধ্যে ধর্ম। পরিচ্ছদ, খাওয়াদাওয়া—সবই মধ্যযুগীয় চিন্তাধারায় পরিপুষ্ট স্বতন্ত্র এক ধ্বংসকারী মতবাদ। আমেরিকা, ইউরােপ, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া ও আফ্রিকার কোনাে দেশই আজ আর ইসলামের তরবারির আঘাত থেকে মুক্ত নয়। তাই ভাবতে হবে এর শেষ কোথায়? খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর চৈনিক দার্শনিক, সান জুতার ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’গ্রন্থে বলেছেন, শত্রুকে পরাস্ত করতে হলে তার সম্বন্ধে বিস্তৃত জ্ঞান অর্জন করতে হয়। তাই বাইবেল ও গীতাজ্ঞানের থেকেও কোরান পড়া বেশি দরকার।
পয়গম্বর মহম্মদ নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক ও সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন সুদক্ষ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কোরান, হাদিস আর শরিয়া-ইসলামের এই তিন স্তম্ভের প্রতি জীবন বিসর্জনদায়ী অকুণ্ঠ আনুগত্যের রহস্যটি কী, জানতে হবে। আমি বলব ভােগবাদ। এই পৃথিবীতে গনিমতের মাল হিসেবে কাফেরের ধনসম্পদ লুণ্ঠন, অপহৃত কাফের কন্যার যৌনশােষণ এবং মৃত্যুর পর বেহেস্তের ৭২ হুর আর গেলেমনের অলীক কল্পনায় মশগুল জিহাদি অন্য ধর্মে যা অনৈতিক তাকে নস্যাৎ করে অবলীলায় প্রাণাহুতি দিতে পিছপা হচ্ছে না। অমুসলমান সব দেশেই তারা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য পার্টি তৈরি করে ফেলছে অল্পদিনের মধ্যেই। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে অন্ততপক্ষে আমাদের শেখা উচিত তাদের ‘তাকিয়া’ নামক ধূর্ত কৌশলগুলি। ১৯০৬ সালে ঢাকায় নবাব খাজা সালিমুল্লা মুসলিম লিগের সৃষ্টি করেন মাত্র ৯ কোটি মুসলমানের জন্য। তখন ৯৫ শতাংশ ভারতীয় মুসলমান হিন্দুদের থেকে আলাদা এক পবিত্র স্থানের কল্পনা করে পাকিস্তানের স্থাপনা করেছিল। কিন্তু মাত্র ৫ শতাংশ মুসলমান পাকিস্তানে গিয়েছিল। বাকিরা সব থেকেই গেল ভারতে। আজ তারা সংখ্যায় ৩০ কোটি। অল ইন্ডিয়া মিমের কর্তাব্যক্তি ওয়ারিশ পাঠান ও তার সহযােগী আকবরউদ্দিন ওয়েসি গােটা ভারত থেকেই ‘হিন্দুহঠাও’ হুংকার দিচ্ছে। ব্রিটেনে তাদের সংখ্যা মাত্র ৪ শতাংশ,কিন্তু তারা ইসলামিক শরিয়া স্থাপন করে ইংল্যান্ডকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার হুমকি দিচ্ছে। লন্ডনের কুখ্যাত ইমাম আঞ্জেস চৌধুরী কুইন ভিক্টোরিয়াকে ধর্মান্তরিত হবার আহ্বান জানাচ্ছে। বেআইনি ও গুপ্তভাবে নিজেরাই মসজিদে ইমামের সাহায্যে সম্পত্তি হস্তান্তর ও পারিবারিক বা সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান করে নিচ্ছে। রাজনৈতিক লাভের বশবর্তী হয়ে স্বাধীনতার পরেপশ্চিমবঙ্গের ধান্দাবাজ মুসলমানরা কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। তারপরে সিপিএমের তাবেদাবিী করেছে গত ৩৪ বছর ধরে। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএমের দুই নেতা ও নেত্রী রাত্রের অন্ধকারে হিন্দু গৃহবধূদের সিঙ্গুরে ও কেশপুরে পাঠাত মুসলমান গুন্ডাদের রান্না আর গা-হাত-পা টিপে দেওয়ার জন্য। একজনের নাকি পােষা কুমির ছিল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের উচিত শিক্ষা দেবার জন্য। এখন মুসলমানরা তৃণমূলের। হয়ে কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গকে হিন্দুশূন্য করার জন্য মমতার প্রশাসনের পরােক্ষ সাহায্য নিয়ে।
যেদিকে হাওয়া বইবে তারা সেদিকেই চলে আসবে। বিজেপির হাওয়া দেখে তারা অনেকেই খাতায় নাম লিখিয়ে রেখেছে। গােপনে যােগাযােগ করছে। এখানেই হচ্ছে নিৎসের লেখা পুস্তক ‘দাস স্পেক জরথুস্টের’ সুপারহিউম্যানের চরিত্র। একদিকে আছে মধ্যযুগীয় ধর্মের গোঁড়ামি যা আদর্শর্বাদ নামে পরিচিত। অন্যদিকে আছে হেডােনিজম বা ভােগবাদ। এই দুটি মতবাদের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে ইসলামের সুপারহিউম্যান বা সর্বোচ্চমানের শ্রেষ্ঠ মানুষরা। এটা অবশ্য শ্লেষাত্মক ভাবে বলেছি। নিৎসে সুপারহিউম্যানে যেসব গুণাবলির কথা বলেছেন, তার ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারবে না মধ্যযুগীয় বর্বরা। জর্জ সােরস-সহ ১২ জন বিলিওনেয়ার যারা সারা পৃথিবীর অর্থব্যস্থাকে নিয়ন্ত্রিত করেন, তারাই এখন নতুন যুগের নিৎসের প্রবর্তিত সুপারহিউম্যানের খোঁজে নিযুক্ত আছেন। পুঁজিবাদী আমেরিকা বা ইউরােপের হেডােনিজম ইসলামের চরম শত্রু। আবার নর্থ কোরিয়া আর চীনের কমিউনিজম পশ্চিমের ক্যাপিটালিজমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই ‘শত্রুর শত্রু আমার মিত্র’–এই নীতি নিয়ে মুসলমানরা সাময়িকভাবে বামপন্থীদের শয্যাসঙ্গী হতে রাজি হয়েছে বটে ,তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা ভবিতব্যই বলতে পারেন। সব দেশেই আজ স্বদেশি ভাবনা আর জাতীয়তাবােধ প্রবল হয়ে উঠেছে। ইসলামের নৃশংস নীতির বিরুদ্ধে ভােগবাদী পশ্চিমের দেশগুলি আর । তথাকথিত সাম্যবাদী চীনও স্বদেশি সংবিধান পরিবর্তনের কাজে মন দিয়েছে।
হিন্দুরা একত্রিত হলে, নরেন্দ্র মােদীর নেতৃত্বে সনাতন ধর্মই পারবে এই আত্মবিধ্বংসকারী টোটালিটারিয়ান মতবাদের মােকাবিলা করতে। তাই সারাবিশ্ব অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে ভারতের দিকে মুখ করে, কীভাবে মুসলমান সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সেকথা ভেবে। জানেন কি সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের আহ্বানে বিশ্বের অশান্ত অঞ্চলগুলিতে সব থেকে বেশি সংখ্যায় শান্তিসেনা পাঠায় ভারত? বিশ্বে ভারতের সৈন্যশক্তি চীনের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে।।
আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে। সম্মিলিত ইউরােপের ক্ষমতা নেই এই দুর্দান্ত দস্যুকে দমন করে সৈন্যশক্তি দিয়ে। তাই অধীর আগ্রহে সবাই অপেক্ষা করছে, ভারত কবে আবার ‘জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে’। অতি সম্প্রতি ভারত সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সুরক্ষা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ লাভ করেছে। ভারতের জনশক্তি, সামরিক সামর্থ্য, স্থিতিশীল অর্থব্যবস্থা, ভৌগােলিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক দৃঢ়তা, প্রাচীন ঐতিহ্য আর গৌরবময় সংস্কৃতির সঙ্গে সমন্বয়ের বৈদিক অধ্যাত্ম ও সাম্যবাদই বিশ্বাস ইসলাম আর সাম্রাজ্যবাদী চীনের কমিউনিজমের উপযুক্ত ওষুধ হবে!
ডাঃ আর এন দাশ