চীনে মুসলিম সমাজের উপর অত্যাচার চরমে উঠেছে। প্রোফাইল তৈরির জন্য মাসে ৫ লক্ষ মুসলিমের চেহেরা করা হলো স্ক্যান। এটা সত্য যে চীন পাকিস্থানের সবথেকে কাছের বন্ধু একইসাথে চীন মাসুদ আজহারকে বাঁচানোর জন্য সবথেকে বেশি প্রয়াস করে। কিন্তু সেটা পুরোটাই ভারতকে পিছিয়ে রাখার জন্য তথা ভারতের বিকাশে বাধা দেওয়ার জন্য। একদিকে কট্টর ইসলামিক চিন্তাভাবনা তথা জিহাদকে সমর্থন করলেও নিজের দেশে মুসলিমের ব্যাপক দমন করে চীন। মুসলিম এলাকাগুলিতে চীন ড্রোন ক্যামারা লাগিয়ে সর্বদা কড়া নজর রাখে। সম্প্রতি পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী চীন একমাসে ৫ লক্ষের বেশি মুসলিমদের চেহেরা স্ক্যান করেছে।
চীনের দু প্রকার নীতিকে নিয়ে আমেরিকা আপত্তি প্রকাশ করেছে। চীন একদিকে কট্টর ইসলামিক জিহাদ তথা আতঙ্কবাদকে সমর্থন করছে তো অন্যদিকে নিজের দেশে থাকা নিরীহ মুসলিমদের উপর অত্যাচার করছে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পিও বলেছেন যে, চীন ১০ লক্ষ মুসলিমকে গোপন শিবিরে আটক করে রেখেছে। চীনে মুসলিমরা কি খাবে, কি পরিধান করবে, কিভাবে আজান দেবে সবকিছুর উপর সরকার কড়া নজর রেখেছে।
চীনের রাস্তায় মহিলারা বোরখা জাতীয় কিছু পরিধান করে গেলে চীনের পুলিশ তা কেটে ছোট করে দেয়। চীনের মসজিদে ইসলামিক পতাকার স্থানে চীনের পতাকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাউডস্পিকারে আজান পড়া চীনে বড় ধরণের অপরাধ। হালাল মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে দিকেও চীনে কড়া নির্দেশ জারি রয়েছে। ১০ লক্ষ মুসলিমকে গোপন ক্যাম্পে আটকে তাদেরকে আরবি মুসলিম থেকে চিনী মুসলিম হওয়ার পথে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কোনো দেশে যদি বাইরের সভ্যতা, সঙ্গস্কৃতি ঢুকে পড়ে সেই দেশের সভ্যতা, সঙ্গস্কৃতি নষ্ট করে তাহলে সেটা খুবই বিপদজ্জনক। এটাকে লক্ষ করেই চীন মুসলিমদেরকে আরবি কালচার ছেড়ে চিনা কালচার গ্রহণ করানোর জন্য জোর দিচ্ছে।