লাদাখে (ladhak) ভারত (India)এবং চিনের সঙ্গে সংঘাত। আর তার জের এবার পড়তে চলেছে দেশের সড়ক নির্মাণেও। চিনা কোনও সংস্থাকে সড়ক নির্মাণের বরাত আর দেওয়া হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন নীতিন গডকড়ি।
তিনি জানিয়েছেন, যৌথ উদ্যোগে কোনও সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও আর দেওয়া হবে না চিনা কোনও সংস্থাকে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পেও কোনও চিনা সংস্থাকে বিনিয়োগ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গডকরি। মোদী সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে চিনের উপর ডিজিটাল স্ট্রাইক করেছে মোদী সরকার। টিকটক সহ একগুচ্ছ চিনের অ্যাপ বাতিল করে দিয়েছে ভারত সরকার। মোদী সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত প্রবল ধাক্কা খেয়েছে চিন। অর্থনীতির কারবারিরা বলছেন, মোদী সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে প্রবল চাপ পড়বে চিনের অর্থনীতির উপরে।
এই পরিস্থিতিতে চিনের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। এবার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে সুযোগ দেওয়া হবে না চিনের সংস্থাগুলিকে। এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সড়ক, সড়ক পরিবহণ এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোনও চিনা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সড়ক নির্মাণের অনুমতি দেব না।
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যৌথ উদ্যোগে কোনও চিনা সংস্থাকে কাজ করতে দেব না। এই ব্যাপারে আমরা অনড় অবস্থান নিতে চলেছি।’ খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন গডকড়ী। নতুন করে কোনও টেন্ডারে চিনা সংস্থাকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ মাঝপথে, সেগুলো সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে আপত্তি করা হবে না।
অন্যদিকে, চিনের সংস্থার টেন্ডার বাতিল করল বিএসএনএল। রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার ফোর জি পরিষেবায় দুই চিনা সংস্থা প্রযুক্তিগত সাহায্য দেওয়ার বরাত পেয়েছিল। লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসন নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে চিনের সংস্থার সঙ্গে কোনও কাজ করতে চায় না ভারত। সেই কারণেই চিনের সংস্থা থেকে কোনও মালপত্র নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল।
একের পর এক ধাক্কা চিনকে। একেবারে কোনঠাসা করে দেওয়ার চেষ্টা। যা চিনকে চাপে ফেলতে বাধ্য করবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।