লক ডাউনের অন্য দিক প্রকৃতির পরিবর্তন

আর্থিক ক্ষেত্রে ভারতের মতাে একটি বিরাট দেশের ক্রমশ বাড়তে থাকে লকডাউন সমূহ ক্ষতি করছে ও করেছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। বহু মানুষ এই বিপর্যয়ে তাদের জীবিকা হারিয়েছেন। আর জীবিকা হারানাের যে কী বেদনা তা যাঁরা ভুক্তভােগী তারাই জানেন। লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছােট ছােট কলকারখানার অজস্র কর্মচারী, টোটো-ভ্যান-রিকশাচালক, মুটে, মজুরদের মতাে কয়েক লক্ষ অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ, সরকারি নানান কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ—তাদের জীবিকা হারিয়েছেন। আর মানুষকে নিয়েই তােসরকার। ফলে সরকার হারিয়েছে তার রাজস্ব। এই বিপর্যয় মােকাবিলা করার জন্য সরকারকে তার সঞ্চিত অর্থ বিপুল হারে খরচ করতে হচ্ছে। ফলে রাজকোষ কমে আসছে। রাজার বিপর্যয়ে প্রজারা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পার ? না, পারে না। রাজ্য যেমন প্রজাকে দেখেন, তেমনি রাজার বিপদের সময় প্রজাকেও রাজার পাশে এসে দাঁড়াতে হয়। মহাভারতের শান্তিপর্বেশরশয্যায় শায়িত পিতামহ ভীষ্ম আপৎকালে রাজার কর্তব্য সম্পর্কে যুধিষ্ঠিরকে বলেছেন—“আর দেখ, রাজা ও রাজ্য ইহারা পরস্পর পরস্পরকে রক্ষা করিয়া থাকে; অতএব রাজা যেমন আপকালে স্বীয় ধন ব্যয় করিয়া রাজ্যরক্ষা করেন, তদ্রুপ রাজ্যস্থ প্রজাগণেরও রাজার বিপকালে তাহাকে রক্ষা করা কর্তব্য।” (মহাভারত, কালীপ্রসন্ন সিংহ, শীল সংস্করণ, ২০১৭, পৃ: ৭৩১)। ফলে কী রাজ্য কী কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকদের কাছ থেকে এই সময় সাহায্য চাইছে। আমাদের সক্ষম নাগরিকদের উচিত যা কিছু সম্ভব তা দিয়ে সরকারকে সাহায্য করা।

এত গেল আর্থিক ক্ষতির দিক। এই বিপদের অন্য দিকও আছে। নানাভাবে এই বিপদকে দেখা হচ্ছে ও দেখা উচিত। দেখতেই হবে, কারণ শেষ পর্যন্ত এই বিপর্যয়ের হাত থেকে সভ্যতাকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং তা নিশ্চতভাবেই সম্ভব হবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। খুব শীঘ্র এই কোভিদ-১৯ থেকে বেরিয়ে আসা আমাদের পক্ষে হয়তাে সম্ভব নয়। একে সঙ্গী করেই হয়তাে আপাতত আমাদের পথ চলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক একদিন বলছিলেন এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মূলত আমাদের জীবনশৈলীতে পরিবর্তন আনা দরকার। যেভাবে জীবন চলছিল, এই থমকে যাওয়া সময়ে সেই জীবনের দিকে একবার ফিরে তাকাতে হবে। দেখতে হবে এভাবে কি চলা যায়, চলা উচিত?

জীবনশৈলী বলতে কী বােঝায় ? সাধারণভাবে তা জীবনযাপন প্রণালী। জীবনকে কেমনভাবে আমরা দেখব, কেমনভাবে যাপন করব কয়েক বছরের জীবন—তাই জীবনশৈলী। জীবন তাে এই বিরাট পরিবেশের একটি অংশমাত্র। প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবন চলতে পারে না। মহাবিশ্বের অন্তহীন কালপ্রবাহে এই জীবন একটি বিন্দুমাত্র। এই বিন্দুতেই যদি সিন্ধুদর্শন করতে চাই তাহলে প্রকৃতিকে অবহেলা করলে চলে না। আমাদের প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ একথা বলেছে, বলেছেন পৃথিবীর গুণীজনেরা, শিল্পী ও কবিগণ। প্রকৃতির কথা বাদ দিলে রবীন্দ্রনাথ থেকে ওয়ার্ডস ওয়ার্থ সব শূন্য হয়ে যায়। কিন্তু দিনে দিনে আমরা প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিলাম। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার জন্য বড়াে বড়াে সভা সমাবেশ হয়, বিশ্বনেতারাও এক টেবিলে গ্লোবাল ওয়ামিং নিয়ে আলােচনা করেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা অষ্টরম্ভা। কলকারখানা থেকে নির্গত পুঞ্জ পুঞ্জ কালাে বা কখনাে সাদা ধোঁয়ার পরিমাণ বাড়তেই থাকে, নগর ও শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য নদীর জলধারাকে দূষিত করতেই থাকে, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়তেই থাকে, আর আগুন লাগে আমাজন থেকে অস্ট্রেলিয়ার বনভূমিতে। মানষের বিষবাষ্পে। ত্রাহি ত্রাহি রব তােলে প্রাণীজগৎ। প্রকৃতিকে বিনাশ করে মানুষের এই যে জীবনযাপন এর পরিবর্তন দরকার। এই পরিবর্তন সম্ভব মানুষ যদি তার জীবনশৈলীর পরিবর্তন করে।

আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। একটি শব্দ ‘উন্নতি। সব রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য যেন এই ‘উন্নতি। উন্নতি’ বলতে কী বােঝায়? পরিবেশের সর্বনাশ করে যে উন্নতি তা কী আদৌ উন্নতি না অবনতি ? লকডাউন-উত্তর পরিবেশের শুদ্ধতা আমাদের এই ভয়াবহ প্রশ্নের মুখােমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। লাকডাউনের সময় বিদ্যুৎ শিল্পের মতাে জরুরি শিল্পগুলি বাদ দিয়ে প্রায় সমস্ত কলকারখানা বন্ধ ছিল। রেড জোন এলাকাগুলিতে এখনাে তা বন্ধ। বেঁচে থাকার জন্য তা করতেই হবে। কারণ মানুষের জীবনের মূল্য সবার আগে। তার অর্থনীতি, শিক্ষা, আইন-আদালত সবকিছু। জীবন বাঁচানাের স্বার্থেইরাষ্ট্র আমাদের ঘরে আবদ্ধ করে দিয়েছে।

কিন্তু গৃহের ছাদ থেকে, বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে বা বাড়ির অঙ্গন থেকে আমরা দেখছি পরিবেশের শুদ্ধতা। খালি চোখেই এটা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, কোনাে যন্ত্রপাতি লাগছে না। বৈশাখ মাস চলে গেল। আমরা সে রকম গরম অনুভব করলাম না। দু একদিন ছাড়া ছাড়াই কালবৈশাখীর দমকা হাওয়া আর বৃষ্টি প্রকৃতিকে সুখস্নানে ভরিয়ে দিয়ে গেল। বাঙ্গলার রাঢ় অঞ্চলের ভৌম জলস্তর এখনাে তেমন নেমে যায়নি। সকালে পাখপাখালির কিচিরমিচির একটু বেশিই শােনা যাচ্ছে। এমনকী যে কাক পক্ষীদের দেখাই পাওয়া যেত না, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার আনাচে কানাচে তাদেরও দেখা মিলছে। সেদিন আমার বাড়ির অঙ্গন থেকেই মধ্যাহ্ন আকাশে দেখলাম দুটো চিল উড়ছে। চিল তাে প্রায় লুপ্তপ্রায় পাখির তালিকায় নাম তুলেছিল। তাদেরও দেখা পেলাম এই পরিবেশে। এরপর শকুন দেখার অপেক্ষায় আছি। লকডাউন তাে চলছে প্রায় সারা পৃথিবী জুড়ে। পৃথিবীর দূষণ অনেকখানি বন্ধ। ফলে আমরা খবর পাচ্ছি। মহাকাশের ওজন স্তরের যে ফাটল দেখা দিয়েছিল তাও নাকি এখন পূরণ হয়ে গেছে। এর থেকে বড়াে কথা আর কী-ই হতে পারে।

প্রকৃতির কীরকম সর্বনাশ আমরা করেছি তা এই লকডাউনে প্রকৃতির ছবি দেখলেই বােঝা যায়। প্রকৃতিকে রক্ষা করে যে উন্নতি, যাকে বলা হয় ‘Sustainable Development তা আমরা করতে পারছি না। এ সম্পর্কে বহু আলােচনা সভার আয়ােজন হয়েছে কিন্তু বাস্তবের ফল প্রায় শূন্য। গান্ধীজী থেকে রবীন্দ্রনাথ ভারতের এই দুই গুণী মানুষ প্রকৃতির বিনাশ করে কোনাে উন্নয়ন চাননি। এটা চলতে থাকলে প্রকৃতি যে একদিন প্রতিশােধ নেবেই তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কারণ প্রকৃতির সমস্ত অনু-পরমাণু একটা শৃঙ্খলে বাঁধা। এই বন্ধন টুটলেই বিনাশ অনিবার্য। এই ভয়াবহ রােগকে মানব সভ্যতার ওপর প্রকৃতির প্রতিশােধ হিসেবে দেখা যেতেই পারে। প্রকৃতি নিজেই যেন নিজের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য এগিয়ে এল। উন্নতির নেশায় ধাবমান মানুষকে কিছুদিনের জন্য থামতে বলল। করােনা ভাইরাস যেন একটি উপলক্ষ্য মাত্র। মৃত্যু আর বিনাশের ভয়াল বার্তা হাতে নিয়ে প্রকৃতিই যেন আমাদের জানাতে চাইছে সভ্যতা ঠিক পথে চলছে না। সভ্যতাকে সে জানিয়ে দিল ‘শুধরাও, নইলে পতন অবশ্যম্ভাবী।

যে বিনাশকারী উন্নয়নের দিকে আমরা চলেছি তার জন্য কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। প্রতিটি সরকারের পরিবেশ দপ্তর প্রায় নখদন্তহীন। এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে কলকারখানার মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ধরে ফেলা সহজ হয়েছে। কিন্তু কোনাে রহস্যময় কারণে তা বাস্তবে প্রয়ােগ হয় না। এ রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এখন তাে তার সমস্ত কার্যক্ষমতা বিসর্জন দিয়ে বসে আছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে স্পঞ্জ আয়রন কারখানাগুলির মাত্রাতিরিক্ত দুষণের কথা সবাই জানেন। জানে না শুধু দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। প্রতিনিয়ত এই কারখানাগুলি এলাকার জল-হাওয়া-মাটি নষ্ট করে দিচ্ছে। পর্ষদে এদের বিরুদ্ধে বহু অভিযােগ জমা পড়ে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। আমরা সবাই জানি প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সরকার আমাদের একবার ব্যবহারযােগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। গত বছরের ২ অক্টোবর থেকে রেল চত্বরে এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে কিছু পােস্টার লাগিয়েই রেল তার দায়িত্ব থেকে যেন মুক্ত হয়েছে। আমরা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখি সাধারণ মানুষের এ সম্পর্কে কোনাে সচেতনতা নেই। তাই কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। এ রাজ্যের পৌরসভাগুলিও একাজে চূড়ান্ত ব্যর্থ। আসলে পরিবেশের জন্য যেকোনাে ভালাে কিছু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নীচু স্তরে চূড়ান্ত উদাসীনতায় পরিণত হয়। সরকার যে কোনাে সময় একবার ব্যবহারযােগ্য প্লাস্টিক, গুটকা, পানমশলার কারখানাগুলিকে বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু সামান্য কিছু রাজস্ব আর কিছু কর্মসংস্থান হারানাের ভয়ে সরকার পরিবেশের লাগাতার ক্ষতি মেনে নেয়। এইসব বিষয় নিয়ে। আন্তরিকভাবে ভাবার সময় এসেছে। পরিবেশের কথা সবার পিছনে রেখে উন্নয়ন নয়, পরিবেশের কথা সবার আগে রেখে উন্নতির কথা ভাবতে হবে। লক ডাউনের জন্য শুদ্ধতর পরিবেশ আমাদের সেই বার্তা দিয়ে গেল।

কিন্তু এই বার্তা কি সরকার শুনবে? করােনা পরিস্থিতির ভয়াবহ আবহের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এই ভাষণে তিনি আত্মনির্ভর ভারত গঠনের কথা বললেন। স্থানীয় চাহিদা ও জোগানের মাধ্যমে জীবনযাপন, লােকালের জন্য ভােকাল হওয়া, আর তারপর ২০ লক্ষ কোটি টাকার এক বিরাট আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘােষণা করলেন। তিনি বললেন আত্মনির্ভরতা সুখ দেয়। কিন্তু প্রকৃতিকে বিনাশ করে আত্মনির্ভরতা আসে না। আমরা আমাদের কৃষিক্ষেত্রে নিজের বাড়ির জৈব সার ব্যবহার না করে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার যদি ব্যবহার করি, তাহলে ফসল ফলাতে পারি, কিন্তু আত্মনির্ভর হতে পারলাম না। পরিবেশ রক্ষার জন্য এরকম কিছু ছােট ছােট বিষয় আমরাও যদি মেনে চলি তাহলে অনেক কাজ হয়। সবকিছু সরকার করে না। কিন্তু অবশ্যই সরকারকে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে নীতি নির্ধারণ করতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে তার রূপায়ণ করতে হবে।

করােনার ভয়ে দেশ জুড়ে লক ডাউন আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিল সত্যি কথা। কিন্তু এর উলটোপিঠেকিছু ভালাে দিকও আমরা পেলাম। দীর্ঘ লকডাউন আমাদের সুন্দর প্রকৃতি দিল। দিল্লির বায়ুদূষণ গােটা পৃথিবীর আলােচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল। শহরটা আর বাসযােগ্য থাকবে কিনা এই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বহু কিছু হারিয়েও দিল্লির পরিবেশ এখন পালটে গিয়েছে। এছাড়া এই লকডাউনে আমরা জানলাম কত কম জিনিস নিয়েও বাঁচা যায় ! ভােগ্যপণ্য জীবনকে ক্রমশ পণ্যনির্ভর করে তুলেছিল। তা থেকে কিছুদিনের জন্য আমরা বেরিয়ে এলাম। লকডাউন আমাদের শেখাল প্রযুক্তির এই যুগে ঘরে বসেও অনেক কাজ করা যায়। বেশি দৌড়ঝাপ, টার্গেটের পিছনে দৌড়তে দৌড়তে জীবনে অনাবশ্যক চাপ বা স্ট্রেস ডেকে আনা, বাইরের কাজে ঘুরতে ঘুরতে নিজের পরিবারকেই দেখতে ভুলে যাওয়া—এসব যে প্রকারান্তরে নিজের শরীর ও মনের ক্ষতি ডেকে আনে তা আমরা বুঝলাম। সবার হাতে প্রযুক্তির কিছু সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এখন যেন সময়ের চাহিদা। অন লাইনে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু ক্লাস দেখলাম, তা থেকে মনে হলাে স্কুলের ক্লাসরমের সঙ্গে সঙ্গে এইসব ক্লাস ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চলতেই থাকুক। অন লাইন ক্লাস যেন লকডাউন উত্তর সময়ে বন্ধ হয়ে না যায়।

এছাড়া সবচেয়ে বড়াে কথা, করােনার ভয় আমাদের শেখাল কীভাবে দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা, বাইরে থেকে বাড়িতে এলে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পা ধুয়ে বাড়িতে প্রবেশ করা, যত্রতত্র থুতু না ফেলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা—এসব সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি আমরা অনেকেই মেনে চলতাম না। এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অনেক রােগ থেকেই আমরা বাঁচতে পারি। তাই দীর্ঘ দিনের লকডাউন আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও অনেক কিছু দিয়ে গেল।

গৌতম কুমার মণ্ডল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.