দুদফার ভোট স্পিড ব্রেকার দিদির ঘুমেও ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছে। তৃতীয় দফার ভোটের আগে বুনিয়াদপুরের জনসভা থেকে এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মানুষ যেভাবে দিদির গুন্ডা বাহিনীকে ভয় না পেয়ে ভোট দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট বাংলায় কিছু বড় হতে চলেছে। মোদী বলেন,স্পিড ব্রেকার দিদিকে বুথে বুথে শাস্তি দেবে মানুষ। রাজ্যে চলা তোলাবাজি, গুন্ডামির জবাব দেবে মানুষ। ২৩মের ফল বলে দেবে রাজ্যে মানুষের সমর্থন কোনদিকে যায়। মানুষ লুঠ, গুন্ডামি, তোলাবাজি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করবেন। যা দুদফার ভোটেই প্রমাণিত হয়ে গেছে। কারণ এই দুদফার ভোটে মানুষ প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও আন্দোলন করে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করেছে। আর এই জন্যই দিদির ঘুম উড়েছে বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেন, সারা দেশ বলছে পশ্চিমবঙ্গে বড় কিছু হতে চলেছে। তিনি আহ্বান জানান উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্যই বিজেপিকে বিপুল জনসমর্থন দিক মানুষ।
মোদী বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের বিশ্বাস রাখতে পারেননি। এর ফল তিনি পাবেন। তিনি বলেন ইতিহাস, ভবিষ্যত দিদিকে ক্ষমা করবে না।
মোদী বলেন ভোটের জন্য দিদি একের পর নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসের ভোট প্রচার বিতর্কের মন্তব্য করেন মোদী। তিনি বলেন,এই প্রথম ভারতের নির্বাচনে ভোট প্রচার করতে কোনো বিদেশিকে দেখা গেল, যা আগে কখনো হয়নি।
মোদী বলেন, তিনিও আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সততার প্রতীক মনে করতেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবার পর সেই ভুল তার ভেঙেছে। মোদীর কথায় দিদি আসলে রাজ্যকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। তিনি বলেন তিনি দেশের সেনাবাহিনীর কাছে তাদের বীরত্বের প্রমাণ চান দিদি অথচ চিটফান্ড করে যারা সাধারণ গরীব মানুষের পরিশ্রমের টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দিদি প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করেন না। তিনি আরও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুন্ডাদের পয়সা দেন কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেননা। মোদী অভিযোগ করেন পিসি ও ভাইপো মিলে এরাজ্যের সংস্কৃতি বরবাদ করে দিয়েছেন।
মোদী প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করা হবে, অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে ও নাগরিক আইন লাগু করবেন। একই সঙ্গে রাজ্য যে উন্নয়ন থমকে রয়েছে স্পিড ব্রেকার দিদির জন্য তা আবার গতি পাবে।
এদিনের সভায় জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। মোদী বলেন তিনি হেলিকপ্টার থেকে দেখেছেন ৫ কিলোমিটার এড়িয়া জুড়ে শুধু লোক আসছে। মানুষের এই বিপুল জনসমর্থনকে বিজেপির প্রতি আশীর্বাদ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।