স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, এক শতাব্দী পরেই ভারতের সুপ্ত শক্তি জেগে উঠবে এবং ভারত মা পুনরায় বিশ্বগুরুর আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে। এখন ভারতের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যাবে,স্বামী বিবেকানন্দ এর ভবিষ্যতবাণী সত্য হওয়ার পথেই এগিয়ে চলেছে। ভারতের ছবি এখন এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠছে যে বিশ্বের মহাশক্তিশালী দেশও নিজের নিয়ম পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধুমাত্র ভারতের জন্য নিজেদের নিয়ম পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে মহাশক্তি নামে পরিচিত আমেরিকা।
জানিয়ে দি, সম্প্রতি আমেরিকা থেকে যে খবর আসছে তা ভারতের শত্রু দেশগুলির ঘুম উড়িয়ে দেবে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আমেরিকা ভারতকে গার্ডেইন ড্রোনস এর আর্মড ভার্শন দিতে প্রস্তুত হয়েছে। প্রথমত জানিয়ে দি, ২০১৭ সালে মোদী ও ট্রাম্প এর চুক্তিতে শুধুমাত্র সার্ভিল্যান্স ড্রোন বিক্রীর চুক্তি হয়েছিল। এই ড্রোনগুলি একটা রাডারের মতো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কাজ করে। কিন্তু পুলবামা হামলার পর ভারত আর্মড ভার্শন ড্রোন কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এখন সমস্যা এই ছিল যে এই ড্রোন শুধুমাত্র NATO তে সদস্য থাকা দেশগুলি কিনতে পারতো।
তবে আমেরিকা থেকে যে খবর বর্তমানে।সামনে আসছে তা চমকে দেওয়ার মতো। খবর অনুযায়ী, আমেরিকা বাধ্য হয়ে তাদের নিয়ম পরিবর্তন করেছে। ভারত একমাত্র দেশ হবে যা NATO সদস্য না হয়েও এই ড্রোন কিনতে পারবে। ভারতকে আর্মড ভার্সন ড্রোন দিতে আমেরিকা রাজি হয়েছে।আমেরিকা তাদের বিক্রি করার নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। কারণ ড্রোন তৈরি করতে ইজরায়েলও কারোর থেকে কম নয়। যদি আমেরিকা না দেয় তবে ভারত ইজরায়েল থেকে ড্রোন কিনবে। শুধু তাই নয়, ভারতে শক্তিশালী সরকার থাকলে ভারতের বিজ্ঞানীরাও কিছু সময়ের মধ্যে ওই সমজাতীয় ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম।
তাই সবদিকে লক্ষ রেখে আমেরিকা তাদের নীতি পরিবর্তন করে ফেলেছে এবং ভারতকে আর্মড ভার্সন ড্রোন দিতে রাজি হয়েছে। খবর অনুযায়ী, আমেরিকা ভারতকে 22MQ 9B গার্ডিয়ান ড্রোন বিক্রি করতে সম্মতি প্রকাশ করেছে। ভারত ও আমেরিকার এই চুক্তির উপর চীন কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি তবে পাকিস্তান তাদের আপত্তি প্ৰকাশ করেছে। পাকিস্থানের মতে এইভাবে একটা বিশেষ দেশের জন্য নিয়ম পাল্টে ফেলা উচিত নয়। ট্রাম্প বলেছেন, ভারতকে অস্ত্র বিক্রি করার দিক থেকে আমেরিকার এগিয়ে থাকা উচিত, নাহলে অন্য দেশের থেকে ভারত সেটা কিনে নেবে। যেহেতু প্রতিযোগিতা বেশি এবং ভারতের সাথে সমস্থ দেশের সম্পর্ক ভালো তাই উদার নীতি পালন করা বুদ্ধিমত্তার কাজ।