হার্দিক পটেলকে মঞ্চে উঠে চড় মারার জন্য তিনিও মার খেয়েছেন। তার পরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জানালেন কেন তিনি কংগ্রেসে পতিদার নেতাকে চড় মেরেছেন। আর তাতেই জানিয়েছেন, গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে যখন সমস্যায় পড়েছিলেন, তখনই তিনি শপথ নেন সুযোগ পেলেই মারবেন হার্দিককে। এদিন সেই সুযোগই তিনি কাজে লাগিয়েছেন।
গুজরাটের সুরেন্দ্রনগরে কংগ্রেস নেতা হার্দিক পটেলকে প্রচার মঞ্চে উঠে চড় মারেন তরুণ গুজ্জর নামে এই ব্যক্তি। একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন গুজরাট কংগ্রেসের নেতা তথা পতিদার আন্দোলনের প্রধান হার্দিক পটেল। সেই সময়ে আচমকাই তিনি মঞ্চে উঠে হার্দিক পটেলকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এর পরে হার্দিক পটেলের সমর্থক এবং কংগ্রেস কর্মীরা ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে তরুণ গজ্জর জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী যখন গর্ভবতী তখনই ২০১৫ সালে গুজরাতে পতিদার সংরক্ষণ আন্দোলন চালাচ্ছিলেন হার্দিক। এর ফলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সবাইকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। গুজ্জর বলেন, “পতিদার আন্দোলনের সময়ে আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তখন ওই আন্দোলনের জন্য অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তখনই আমি ঠিক করেছিলাম, ওই লোকটাকে আমি মারব। একটা শিক্ষা দেবই দেব যেভাবেই হোক।”
গুজ্জর আরও বলেন, “পতিদার আন্দোলনের সময়ে আহমেদাবাদের সব রাস্তা বন্ধ ছিল। আমার অসুস্থ সন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে পারিনি। সব দোকান বন্ধ ছিল। যখন খুশি রাস্তা বন্ধ করে দিতেন, গুজরাট বন্ধ করে দিতেন। উনি কে? উনি কি গুজরাটের হিটলার?”