ভোটের আগের দিন বিকেল বেলা ভোটকেন্দ্রের বাইরে শুধু পুলিশকে দেখে চটে উঠলেন মানুষ। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, তাই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তাঁদের বচসা। কয়েক জায়গায় প্রথমে রুখে গেলেও পরে পরিস্থিতির চাপে তখনকার মতো গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়তে হয় পুলিশকে।
বুধবার বিকেলে আব্দুলঘাটায় প্রথম অশান্তির সূত্রপাত। ভোট কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় পুলিশ পৌঁছতেই শুরু হয় স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে কেউ ভোট দেবেন না জানিয়ে, শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশ কর্মীরা বিক্ষোভ সামাল দিতে গেলে তাদের উপরেও চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রণে ভঙ্গ দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ আধিকারিকদের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়।
একই পরিস্থিতি তৈরি হয় কর্ণজোড়ার ছত্রপুর গ্রামেও। সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাঠানোর প্রতিবাদে ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মানুষজন। পুলিশকে সামনে পেয়ে তাদের উপর চড়াও হয় জনতা। বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে থাকে আরও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের আরও কিছু এলাকা থেকে। তবে সব জায়গাতেই পুলিশ কর্তারা পৌঁছে অবস্থা সামাল দেয়।
বুধবারের সন্ধ্যার পরিস্থিতি দেখে, বৃহস্পতিবার ভোটের কী অবস্থা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন মহল। রায়গঞ্জের আনাচে কানাচে প্রশ্ন উঠছে ৮০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আশ্বাস দিয়েছিল কমিশন। তবে কেন এই সব উত্তেজনা প্রবন বুথে আধাসেনা দেওয়া হলো না!