যাত্রী ঘাটতি-লোকসানের হিসেব দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে একজোট ৮টি বেসরকারি বাস সংগঠন

বাসভাড়া বাড়ানোর জন্য রেগুলেটরি কমিটি ঠিক করে দেওয়া হলেও এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্য পরিবহণ দফতর। এর মধ্যেই যাত্রী হয়রানি রুখতে সোমবার থেকে আরও ৪০০টি বাস রাস্তায় নামবে। যার মধ্যে ২০০টি এসি বাসও থাকবে। সরকারি বাস যতই রাস্তায় নামুক, যাত্রী ঘাটতি এবং লোকসানের হিসেবে ভাড়া না বাড়ালে বেসরকারি বাস সংস্থাগুলির পক্ষে যে টেকা মুশকিল হবে, তা দাবি করে এ দিন ফের বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ফের সরব হলেন বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

শুক্রবার সরকার নিযুক্ত রেগুলেটরি কমিটির সঙ্গে ৮টি বেসরকারি বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা দেখা করেন। ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি বেসরকারি বাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের৷ তাদের দাবি, পুরনো ভাড়ায় বাস চালাতে গিয়ে তাদের যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থা ব্যখ্যা করে গত ২৭ মে থেকে ৩১ মে। ১ জুন থেকে ৭ জুন। ৮ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত যাত্রীর হার, স্টেজ প্রতি টিকিট বিক্রির হার সংক্রান্ত তথ্য তাঁরা জমা দিয়েছেন।

সারা বাংলা বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বাসে যাত্রী কমেছে ৬০.২৬%। মিনিবাসে যাত্রী কমেছে ৫৬.০৪%। বাসে টিকিট বিক্রির হার কমেছে ৬০.৩০%। মিনিবাসে টিকিট বিক্রির হার কমেছে ৫৬.৫৩%।” সরকারের কাছে তারা যে রিপোর্ট পেশ করেছেন সেখানে উল্লেখ করেছেন, লকডাউনের আগে সারা দিনে একটি বাসে যাত্রী হত ৭৫৫ জন। তাদের থেকে টিকিট বিক্রি করে আয় হত ৫৯৭০ টাকা। এখন সেখানে যাত্রী হচ্ছে ৩০০ জন। টিকিট বিক্রি করে মিলছে ২৩৭০ টাকা। অপরদিকে, মিনিবাসে যাত্রী হত ৪৫৫ জন। তা থেকে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া যেত ৪৩২৫ টাকা। এখন যাত্রী হচ্ছে ২০০ জন। আর টিকিট বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে ১৮৮০ টাকা। অর্ধেক রোজগারের পরিস্থিতিতে ভাড়া না বাড়ালে তাদের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে যাবে বলেই তারা বারবার দাবি করেন। এই অবস্থায় রাজ্য পরিবহণ দফতর নিযুক্ত রেগুলেটরি কমিটি কতদিনে সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেই তাকিয়ে আছেন তারা সকলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.