ভীমা ড. বি. আর. আম্বেদকরের ডাক নাম ছিল। এ থেকে ‘দলিত’ (শব্দটি তাৎপর্যহীন মনে হয়) -আন্দোলনের নেতা কর্মীদের একটি পরিচিত আওয়াজ “জয় ভীম জয় ভারত”! ভীমা কোরেগাঁও-তে ভারতের আদ্যশ্রাদ্ধ করেও জিগ্নেশ-কানহাইয়ারা এই আওয়াজ তুলে থাকবে। এটাই দস্তুর।
শচীন টেন্ডুলকারের বন্ধু চমৎকার খেলোয়াড় বিনোদ কাম্বলি-কে মনে আছে? একেকটা সেঞ্চুরি করে আওয়াজ দিত “জয় ভীম”! তো, কানে দুল প্রতিভাবান এই ছেলেটা কি দলিত বলে হারিয়ে গেল? না কি অনুশীলন সংযম মনঃসংযোগের অভাব ছিল?
এবার আসুন আর এক ভীমার কথায়। ভীমা মাণ্ডবী । নামটা ভুলে গেছেন হয়তো। পরশু দিন ছত্রিশগড়ের দন্তেওয়াড়ায় জনপ্রিয় বিধায়ক এই মানুষটি আর চারজন আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান উগ্রপন্থীদের দূর নিয়ন্ত্রণ বিস্ফোরণে বীরগতি (শহীদ শব্দটি এক্ষেত্রে ব্যবহার করছি না, ওরা তো জেহাদে যাননি!) প্রাপ্ত হলেন, সে সংবাদ আমাদের মনে থাকার কথা নয়। এই খবরটা অরুন্ধতী রায়, অমিতাভ ঘোষ, শঙ্খ ঘোষ, নাসিরুদ্দিন, শাবানা আজমি, অমল পালেকারদের তাড়িত করবে না, স্বাভাবিক। তাদের জন্য আছে পুলোয়ামা-ভীমা কোরেগাঁও- বস্তার-কাশ্মীর-কাঠুয়া-আখলাখ আর না জানি কত শত গুরুতর বিষয়।
কিন্তু বলুন তো, ভীমা মাণ্ডবী আর ওই সেনাদের প্রাণ কি নিতান্তই মূল্যহীন ? ভারত ভাঙার খেলায় ঢাল তরোয়াল ঝনঝনিয়ে বাজবে, এক লোভী চরিত্রহীন ধর্মত্যাগী শয়তান শাসাবে, হিন্দু মেয়েগুলোকে আদর করে কাঠুয়ার বদলা নেব। আর আপনারা বিবেক পরিষ্কার রাখবেন। ভীমা মাণ্ডবীদের উপেক্ষাই করবেন ! সাবাস ॥