শেষ হয়ে আসছে বাংলা বছর৷ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ৷ আসন্ন ১৪২৬-এর ১ বৈশাখকে প্রতিবারের মতো রঙিন ও বর্ণময় করতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি৷ নজরকাড়া মঙ্গল শোভযাত্রা ও আলপনায় শোভিত হয়ে নতুন বাংলা বছর প্রবেশ করবে পদ্মা-মেঘনার দেশে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে প্রতিবারের মতো রঙের ছোঁয়ায় বিভিন্ন প্রতিকৃতি নির্মাণে ব্যস্ত শিল্পীরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমৃদ্ধির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান৷ এটাই মূল লক্ষ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় খোলা আকাশের নিচে চলছে বিভিন্ন গ্রামীণ শিল্পরীতিকে তুলে ধরার কাজ৷ রাজা-রানি, পেঁচা, বাঘের মুখোস, কুলো, হাতপাখা আর রকমারি ফুল ও প্রতিকৃতি তৈরিতে ব্যাস্ত সবাই৷
এই মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর বিশ্ব সংস্কৃতির স্বীকৃতি পেয়েছে৷ বিভিন্ন দেশে এই শোভাযাত্রা নিয়ে আগ্রব বাড়ছে৷ মঙ্গলের প্রতীক এই শোভাযাত্রা মানুষকে অসাম্প্রদায়িক হতে উদ্বুদ্ধ করে বলে জানান আয়োজকরা। চারুকলা অনুষদের পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, আটটি কাঠামোতে মানুষের কাছে শান্তি ও সমৃদ্ধির বারতা পৌঁছে দিতে চান। চারুকলা প্রাঙ্গণে চলছে বিভিন্ন চিত্রকর্ম ও মুখোশ বিক্রি। নববর্ষের দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বাড়ছে এসব শিল্পকর্মের ক্রেতার ভিড়।
শুধু ঢাকা নয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম. সিলেট, ময়মনসিংহ, যশোর সহ সর্বত্র চলছে স্থানীয় রীতিতে বর্ষবরণের প্রস্তুতি৷ কোথায় মাটির ঘড়া-কলসিকে চোখ ধাঁধানো সাজিয়ে রাখা হচ্ছে৷ কোথাও চলছে তুলির টানে ছবি দিয়ে দেওয়াল ভরিয়ে বর্ষ বরণের আহ্বান৷
বাংলা বছরের প্রথম দিনটি পালিত হবে নির্বিঘ্নে৷ এর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে কোনও নাশকতা রুখতে তৎপর ঢাকা মহানগর পুলিশ৷ এছাড়াও সর্বত্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷