করোনা ভাইরাসের আক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য তরজার মধ্যেই হাজির হয়েছিল আমফান| রীতিমতো তাণ্ডবের ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ববাসী| শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের ছবিটা যে কয়েকঘন্টায় এইরকম হতে পারে তা কেউই ভাবতে পারেনি| তারপরই প্রধামনমন্ত্রী বললেন পশ্চিমবঙ্গের বিধ্বংসী ছবিগুলো দেখেছি। গোটা দেশ এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে। যে কোনো রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আছি| আমফানের তাণ্ডবের পর এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে ঝড়ের প্রবল তাণ্ডব। আর তাতে রীতিমত বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ। একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। এরপর বৃহস্পতিবার ট্যুইট করেন মোদী। তিনি লিখেছেন, ”এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে। মানুষ যাতে সুস্থ থাকে, সেই কামনা করি। সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সাইক্লোন বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে কাজ করছে এনডিআরএফ।” তিনি আরও বলেন, শীর্ষকর্তারা নজর রাখছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। পাশাপাশি ওড়িশাকেও সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই ঝড় আর সাইক্লোনের রূপে নেই। যখন সেটি কলকাতা ছেড়েছিল তখন তা সুপার সাইক্লোন রূপেই এগিয়ে গিয়েছিল। পরে সেটি একটি সাইক্লোনের রূপ নেয়।
বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির বিচার করে আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, “সব শেষ হয়ে গেছে, সব ধ্বংস হয়ে গেছে”। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক প্রতিবেদনের উপর বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয় এই ঝড়টি , এরপর গত ৩ দিনে নিজের শক্তি বাড়িয়ে এটি সুপার সাইক্লোন অর্থাৎ ভযঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। সতর্কতা স্বরূপ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষজন উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরাজ্যে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। আপাতত রাজ্যে আর কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর|