ফের করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণে আক্রান্ত হলেন কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক সার্জেন্ট। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আনন্দপুর থানার এই সার্জেন্টকে ভর্তি করা হয়েছে ইএম বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত কয়েকদিন ধরেই জ্বর-সর্দি ও কাশির মতো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল এই পুলিশ আধিকারিকের শরীরে। দিন দুয়েক আগে তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এব্যাপারে অবশ্য স্বাস্থ্য ভবন এখনও কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত, ১৫ মে করোনা যুদ্ধে মুক্তি লাভের পর বউবাজার থানায় কাজে যোগদান করেন সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। সেদিন কলকাতা পুলিশে (Kolkata Police) কর্মরত তাঁর সহকর্মীরা পুষ্পস্তবক পুষ্পষ্টির মাধ্যমে থানায় উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে স্বাগত জানান। তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়ে সোমবার দুপুরে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, “আমি বউবাজারের ওসি, ইন্সপেক্টর সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীকে আবারও স্বাগত জানাতে চাই, কোভিড -১৯ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে তিনি আবার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। কোভিডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সদস্যদের সেবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়।” কিন্তু তার পরদিনই কলকাতা পুলিশের আরো এক আধিকারিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় পুলিশ মহলে দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে লালবাজার ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের সংস্পর্শে আসা পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র আনন্দপুর থানা ট্রাফিক সার্জেন্ট বা বউবাজার থানার ওসি নয়, মেটিয়াবুরুজ ও প্রগতি ময়দান থানার ওসিরাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জোড়াবাগান থানার এক এসআই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তালতলা থানার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মাসখানেক আগেই। সম্প্রতি হাওড়া থানার দুজন পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ক্রমেই পুলিশ বাহিনীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন তথা স্বরাষ্ট্র দফতর।