করোনার মোকাবিলায় দেশজুড়ে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। ফলে প্রায় ৫০ দিনের জন্য দেশে অধিকাংশ অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ। লকডাউন ফের বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তার আগে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ করল অর্থমন্ত্রক। যা মূল উদ্দেশ্য বাজারে নগদের যোগান বাড়ানো। আর চাই সেই আর্থিক প্যাকেজের বেশকিছু সুবিধা পেলেন চাকুরিজীবীরাও। এদিকে যেমন ইপিএপ, পিএফে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আবার তেমনই, টিডিএসের হারও কমানো হয়েছে।আবার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হল।
লিক্যুইডিটি রিলিফ দেওয়া হয়েছে সব প্রতিষ্ঠানকে যারা ইপিএফ-এর সদস্য। জুন, জুলাই, অগস্ট মাসে কর্মচারীদের এবং নিয়োগকারীদের অংশের টাকা (বেতনের ১২ শতাংশ) সরকার দিয়ে দেবে। ২৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে এই তহবিলে।এর আগে তিন মাসের জন্য এই সুবিধা সরকার দিয়েছে। তা আরও তিন মাস বাড়ানো করা হল। ৭২ লক্ষ কর্মচারী এর ফলে উপকৃত হবেন। বিধিবদ্ধ পিএফ কন্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে নিয়োগকারীদের প্রভিডেন্ট খাতে যে ১২ শতাংশ চাঁদা দিয়ে হয়, তার পরিবর্তে আগামী তিন মাস ১০ শতাংশ দিলেই হবে। তার ফলে প্রতিষ্ঠানের হাতে আরও অর্থের যোগান থাকবে।
এদিকে নন স্যালারিড পার্সন, অর্থাৎ যাঁরা নির্দিষ্ট বেতন কোনও সংস্থা থেকে পান না, সেই সব ক্ষেত্রে উৎস মূলে কর কেটে নেওয়ার হার ২৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে। চুক্তি বাবদ অর্থ, কনসালটেন্সি ফি, ডিভিডেন্ড, কমিশন, ব্রোকারেজ ইত্যাদির ক্ষেত্রে কর ছাড়ের এই সুবিধা পাওয়া যাবে। কাল বৃহস্পতিবার ১৪ মে থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত এই কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় পদক্ষেপ: ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের জন্য ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর করা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত বাজারে নগদের যোগান বাড়াতেই এই পদক্ষেপ করা হল।