করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা যত বাড়ছে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও ক্ষোভের মাত্রা ততই তীক্ষ্ণ হচ্ছে। গোটা বিশ্বের নজর এখন চীনের দিকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে তদন্ত জোরদার করার ঘোষণা করেছেন। তদন্তের কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়াও। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। আর এটি নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। পম্পেও আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু এবং প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহি আমাদের প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, করোনা ভাইরাস প্রকৃতি সৃষ্ট নয়, বরং মানবসৃষ্ট জৈব রাসায়নিক বোমা। করোনাকে মানবসৃষ্ট ভাইরাস বলে দাবি করেছেন এইচআইভি-র আবিষ্কারক নোবেল বিজয়ী চিকিৎসক লুক মন্টাগনিয়ার। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মানুষেরই তৈরি, তাই প্রকৃতি মেনে নেবে না।
অবশ্য গোড়া থেকেই চীন বলে আসছে করোনা ভাইরাস প্রকৃতির পরিবর্তনের ফসল। উহানের এক বন্য প্রাণীর বাজার থেকে এই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। এইচআইভির আবিষ্কারক ড. লুক মন্টাগনিয়ার স্পষ্ট করেছেন, মানুষের তৈরি করোনা ভাইরাস দুর্ঘটনাবশত গবেষণাগার থেকে বাইরে এসেছে। এরই মধ্যে চীনা গবেষকরা স্বীকার করেছেন তারা এইচআইভির ভ্যাকসিন তৈরিতে করোনা ভাইরাস ব্যবহার করেছেন। জাপানের বিশ্বখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী তাসুকু হোনজু চীনের উহানে সেই গবেষণাগারে কাজ করতেন। দেশে ফিরে এসেছেন কিছুদিন আগে। তিনি দাবি করেছেন, করোনার জীবাণু স্বাভাবিক নয়, তৈরি করা হয়েছে। করোনার আচরণ থেকেই তা স্পষ্ট। তিনি দিনকয়েক আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিন মাস আগেও তিনি উহানে তার সহকর্মীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু এখন তাদের কাউকে টেলিফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।
তদন্তের কথা উঠতেই চীন সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। করোনা নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। চীনের শীর্ষ কূটনীতিক চেন ওয়েন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমনটি জানান। চেন ওয়েন বলেন, এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এতে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে চীনের মনোযোগ সরে যাবে। চীনের দাবি, উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্বাস, করোনা নিয়ে বিশ্বে ভুল তথ্য দিচ্ছে চীন। করোনা ভাইরাস নিয়ে চীন সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্য কর্তৃপক্ষ।
করোনার কীভাবে উৎপত্তি হয়েছে এবং এর ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস এরই মধ্যে নানাভাবে প্রকাশ পেয়েছে। মন্টাগনিয়ার বলেছেন, উহানের গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি হয়েছে এবং সেই সঙ্গে তারা এইডস রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতেও কাজ করছিলেন। গবেষণাগারটি মূলত করোনা ভাইরাস তৈরির জন্য প্রচলিত বলেছেন লুক মন্টিগনিয়ার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে আরএনএ ভাইরাসটির জিনোমার বিবরণ যত্ন সহকারে বিশ্লেষণ করেছি। ভারতীয় গবেষকরা এরই মধ্যে বিশ্লেষণের ফলাফল সামনে আনার চেষ্টা করছেন যেখানে দেখা গেছে এইচআইভি ভাইরাসের জিনোম এইচআইভি ভাইরাসের পর্যায় ধারণ করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ‘দ্য মেইল’-এর অনলাইন ভার্সনে গত ১৮ এপ্রিল করোনা ভাইরাস মহামারী’ ছড়িয়ে দেওয়ায় চীনের ভূমিকা নিয়ে একটি নতুন সিরিজ প্রতিবেদনের প্রথম কিস্তি প্রকাশ করা হয়। এর আগে‘দ্য মেইল’উহানে ভাইরাসটির সূতিকাগার এবং চীনা কর্তৃপক্ষ দ্বারা ভাইরাসটির বিস্তার ঘটানোর খবর চাপা দেওয়ার অভিযোগ-সহ নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। সর্বশেষ ২০ এপ্রিল প্রতিবেদনের শেষ কিস্তিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, কোভিড-১৯-কে কেন্দ্র করে চীন পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক মন্দাবস্থাকে কাজে লাগাতে চায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন মহামারী-উত্তরকালে আমেরিকার কাছ থেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশের তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে। একই সঙ্গে তারা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সুবাদে পাশ্চাত্যকে অবনত দেখতে পছন্দ করছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কয়েকটি বিলম্বিত ‘ভিডিয়ো ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ২২ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের এক পাহাড়ের মাঝখান অবধি একটি ভিডিয়োচিত্র ধারণ করা হয়। একই দিন চীনের উহান নগরীতে বিলম্বিত লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
ইতিমধ্যে বিশ্বের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে মিলিত হন। তারা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক সভায় যোগ দেন। সভায় নজরকাড়া বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সিঙ্গাপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক কূটনীতিক কিশোর মাহবুবানি। তিনি ‘চীন কি বিজয়ী হয়েছে?’ শিরোনামে একটি নতুন ও বহুল আলোচিত গ্রন্থের রচয়িতা। এই গ্রন্থে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে চীনের বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তিধর হওয়ার নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন। করোনা ভাইরাসজনিত সমস্যা শুরু হওয়ার আগেই এই গ্রন্থের রচনা সম্পন্ন হয়।
বৈঠক চলাকালে অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ‘ডয়েশে ব্যাংক’-এর এক প্রতিনিধি মাহবুবানির চিত্রায়িত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তিনি মাহবুবানির কাছে তার গ্রন্থের শিরোনাম ‘চীন কী বিজয়ী হয়েছে? -এর যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। জানতে চান, ‘চীন কি আসলেই সফলকাম হয়েছে? জবাবে মাহবুবানি দুর্বোধ্য হাসি হেসে বলেন, এখনো না।
১০ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে মাহবুবানি আমেরিকার ধনতন্ত্রের সঙ্গে তার ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনা করে বলেন, “চীন ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং সবচেয়ে তরুণ ও গতিশীল মেধাসম্পন্ন নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
চীনের উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে মাহবুবানির বক্তব্যের পর এখন শোনা যাচ্ছে, চীনে নতুন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করায় হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাহববানির বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে তিয়ানমেন স্কয়ারে গণহত্যা এবং কোভিড-১৯-এর বিষয়ে তথ্য গোপনকে ‘দলের সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে বর্ণনা করার অভিযোগ আছে।
‘দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীর চলতি সংখ্যায় মাহাবুবানির মূল প্রশ্নকে প্রথম পৃষ্ঠায় শিরোনাম করে লিখেছে ‘চীন কি জিততে চলেছে?’ হতে পারে চলমান আন্তর্জাতিক বিপর্যয় থেকে চীন আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং প্রভাব বিস্তারে সফল হবে। এ কারণে অনেকেই ধারণা করছেন, এই বিপর্যয় চীনের সৃষ্ট।
ইউরোপ-আমেরিকা করোনার থাবায় বিপর্যস্ত। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এক নতুন বাস্তবতার মুখে তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোও বিপর্যস্ত। ছোটো অর্থনীতির দেশগুলো এর মধ্যেই প্রমাদ গুনছে। চীন ইতিমধ্যে ‘অলৌকিকভাবে’ করোনাবিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে এবং সেখানে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসেছে। এমনকী কিছু কিছু কলকারখানায় উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে। উহানে করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর যেসব চিকিৎসাকর্মী উহানবাসীর সাহায্যে বাইরে থেকে এসেছিলেন, তাদের শেষ দলটিকেও সম্প্রতি বিদায় জানানো হয়েছে। এই যে অলৌকিকভাবে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার পেছনে অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়ার চেষ্টা চলছে। গোটা বিশ্বে। অনেকে এটাকে ‘সন্দেহজনক’ও বলছেন। করোনা গোটা বিশ্বকে তোলপাড় করছে, কিন্তু পিকিং, সাংহাই-সহ বলতে গেলে সমগ্র চীনই স্বাভাবিক।
এদিকে পাশ্চাত্যের অধিকাংশ দেশে এখনো লকডাউন বলবৎ রয়েছে এবং সেখানে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব দেশের শেয়ারবাজারগুলোতে ধস নেমেছে। সেদেশের জিডিপিতে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ধস নামতে পারে। অন্যদিকে জনগণের জীবনমান তদারককারী স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নীতিনির্ধারণী সংস্থা ‘রেজুলেশন ফাউন্ডেশন’ মনে করে, আগামী তিন মাসে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ লোক কর্মহীন বা বেকার হয়ে পড়বে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এই বিপর্যয়ে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগে চীনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বরিস জনসন অসুস্থ হওয়ার পর সাময়িকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেন, সংকট মিটে গেলেও চীনের সঙ্গে আর কখনো স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে না। আমাদের কঠিন হলেও প্রশ্ন করতে হবে, কীভাবে এর বিস্তার ঘটেছে এবং কেন তা আগেভাগে বন্ধ করা গেল না? ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের নীরব সদস্যরাও আজ সোচ্চার। তারা গত জানুয়ারিতে চীনের টেলিকমিউনিকেশন জায়েন্টের সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী হাওয়াইভিত্তিক এই কোম্পানির ব্রিটেনকে ফাইভ-জি অবকাঠামোতে যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা রয়েছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কেবল রাজনীতিবিদরাই নন, ব্রিটেনের সাধারণ মানুষও ওই চুক্তিতে ক্ষুব্ধ। কট্টর রক্ষণশীলদের নীতিনির্ধারণী সংস্থা ‘হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি (এইচজেএস)-র এক জরিপে বলা হয়, ৮০ শতাংশ ব্রিটিশ চায় সরকার চীনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার কোটি পাউন্ড আদায়ে মামলা করুক। প্রায় ৭৪শতাংশ ব্রিটিশ কোভিড-১৯-কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চীনকে দায়ী করে। ব্রাসেলসও বেইজিংকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রধান মারগ্ৰেথ ভেস্টেগার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের প্রতি তাদের শেয়ারবাজারে চীনের কারসাজি ঠেকাতে দেশের ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসেট কোম্পানিগুলোর’ শেয়ার ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। বেইজিংয়ে সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ও এইচজেএসের এশিয়া স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ম্যাথিউ হেন্ডারসন বলেছেন, অনেক বিষয়েই যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। তিনি ‘দ্য মেইল’কে বলেন, “আমরা গত দুই দশক ধরে শুধু পেছনে ঝুঁকেছি এবং বিশ্বাস করেছি চীন থামতে জানে না আর তাদের সঙ্গে ব্যবসা করা উভয়ের জন্য লাভজনক। আসলে সবাই চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছি। সবকিছু মিটে গেলে সেই চীনকে আর পাওয়া যাবে না, একদিন আমরা যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলাম। এখন আমাদের সোজাসাপটা কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা কেন আগ্রাসী চীনের সাহায্যপ্রার্থী হলাম?
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চীনের সঙ্গে অবশিষ্ট বিশ্বের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ায় চীনের বিনিয়োগ খতিয়ে দেখছে। নতুন কোনো চীনা বিনিয়োগ তারা করতে দেবে না। ভারতেও চীন এখন ঢালাও বিনিয়োগ করতে পারবে না, অনুমোদন প্রয়োজন হবে। সুইডিশ সরকার সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চীনের প্রভাব বন্ধ করতে সকল কনফুসীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইডেন হচ্ছে প্রথম ইউরোপীয় দেশ যারা সকল করনফুসীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল। সুইডেন মনে করে, এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চীন তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে।
জাপান সরকার করোনার ক্ষতি পোষাতে ১০৮.২ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৯৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) অনুদান ঘোষণা করেছে, যা জাপানের অর্থনীতির (ইকনোমিক আউটপুট) ২০ শতাংশের সমপরিমাণ। এর মধ্যে একটা বড়ো অঙ্ক বরাদ্দ রয়েছে জাপানি কোম্পানিগুলোকে চীনে উৎপাদন বন্ধ করে জাপনে ফিরিয়ে আনা এবং অন্য দেশে কিংবা অন্য কোনো দেশে বিনিয়োগ করবে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ন্যাটো দেশগুলো বলেছে, চীন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আর ফ্রি হ্যান্ড পাবে না।
ব্রাজিলের শিক্ষামন্ত্রী আব্রাহাম ওয়েনট্রবমনে করেন, কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব, যার সূচনা চীন থেকে, বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের জন্যে চীনের পরিকল্পনার সহায়ক হবে। সুতারাং, বিশ্বে চীনের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন চূর্ণ করার এটাই প্রকৃষ্ট সময়।
বাসুদেব ধর