মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তিদের বাড়িতে দিল্লি আয়কর বিভাগের তল্লাশি অভিযানের পর, ২৮১ কোটি বেহিসেবি ক্যাশ র্যাকেটের তথ্য সামনে আসে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এর অনুসারে, কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগ তথ্য দেয় যে রাজনীতি, ব্যাবসা আর সরকারী সেবার সাথে যুক্ত ব্যাক্তিদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে এই র্যাকেটের পর্দাফাঁস হয়।
কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগ জানায়, ক্যাশের একটি ভাগ হাবালার মাধ্যমে একটি বড় রাজনৈতিক দল তাঁদের দিল্লির শাখাতে পাঠিয়েছিল। কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগ তথ্য দেয় যে, এই তল্লাশিতে ১৪.৬ কোটি টাকার বেহিসেবি ক্যাশ, ২৫২ টি মদের বোতল, হাতিয়ার আর বাঘের চামরা উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আয়কর বিভাগ বাজেয়াপ্ত করা টাকা ছাড়াও কিছু নথির ও পর্দাফাঁস করে। যদিও ওই নথিতে কোন নেতার নাম উল্লেখ ছিল না।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ক্যাশবুক ছাড়াও ২৪২ কোটি টাকার ভুয়া বিলের মাধ্যমে হেরফের আর ট্যাক্সের জন্য স্বর্গ বলা দেশে ৮০ টি কোম্পানির প্রমাণ মিলেছে। এই তল্লাশিতে দিল্লির নামিদামি যায়গায় কয়েকটি সম্পত্তির ও তথ্য সামনে এসেছে।
কংগ্রেস সমেত অবিজেপি দল গুলো এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্র মোদী সরকারের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু আসল ব্যাপার হল, তাঁরা কোনদিনও চায়নি যে এরকম তল্লাশি চালিয়ে এত বড় একটি দুর্নীতির পর্দাফাঁস হোক।
আয়কর দফতরের রিপোর্টে দিল্লির যেই বড় রাজনৈতিক দলের কথা উল্লেখ আছে। সেটি কংগ্রেস ছাড়া আর কোন দল না। কারণ আয়কর দফতর কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সচিব আর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই সমস্ত তথ্য পায়। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্যই কেন্দ্র থেকে মোদীর সরকারকে হাঁটানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অবিজেপি দল গুলো।