করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও
যে সকল চিকিৎসক, নার্স,
স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী, সাফাই কর্মী, পুলিশ,
ডেলিভারি বয়রা নিজেদের কর্তব্য
সম্পাদন করে চলেছে।
তাদের অভিনব উপায় কুর্নিশ
জানানো হলো তিন বাহিনীর
তরফ থেকে।
রবিবার
সকালে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার এবং পণ্যবাহী বিমান
সেই সকল হাসপাতালগুলির উপর
পুষ্পবৃষ্টি করে, যেখানে করোনা
রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
বায়ুসেনার বিমান জম্মু ও
কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে কেরলের তিরুবনন্তপুরম
এবং অসমের ডিব্রুগড় থেকে
গুজরাটের কচ্ছ পর্যন্ত ফ্লাইপাস্ট
করেছে।
এদিন সকাল ১০ টার
সময় বায়ুসেনার বিমান দিল্লি ও
এনসিআর অঞ্চলের করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ
জানাতে ফ্লাইপাস্ট করে যান।
প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত
এই প্রক্রিয়া চলে অভিনব কায়দায়
দিল্লির রাজপথে টেক অফ
করে সুখোই ৩০, মিগ
২৯, জাগুয়ার যুদ্ধবিমান।
বায়ুসেনার মুখপাত্র ইন্দ্রনীল নন্দী জানিয়েছেন, সকালের
দিকে বৃষ্টি হবার কারণে
দিল্লিতে এই কর্মসূচি কিছুটা
বাধাপ্রাপ্ত হয় কিন্তু বায়ুসেনার
হেলিকপ্টার ইন্ডিয়া গেটের সামনে পুলিশ
মেমোরিয়াল পুষ্পবৃষ্টি করে সকাল নটার
সময়।করোনা
যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে দিল্লির
রাজপথ এর ওপর দিয়ে
উড়ে যায় বায়ুসেনার বিমান। এরপরে
দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতাল, জিটিবি হাসপাতাল, লোকনায়ক
হাসপাতাল, রাম মনোহর লোহিয়া
হাসপাতাল, সফদার জং হাসপাতাল,
গঙ্গারাম হাসপাতাল, বাবাসাহেব আম্বেদকর হাসপাতাল, ম্যাক্স সাকেত, রোহিনী হাসপাতালসহ
অন্যান্য হাসপাতাল যেখানে করোনা রোগীদের
চিকিৎসা চলছে সেখানে পুষ্পবৃষ্টি
করে করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশশ
জানায় বায়ুসেনা।একই
দৃশ্য দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের
লখনউ, মহারাষ্ট্রের মুম্বই, কর্নাটকের বেঙ্গালুরু, জম্মু ও কাশ্মীর
শ্রীনগর সহ দেশের একাধিক
শহরে।
ভারতীয়
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল অমন আনন্দ
জানিয়েছেন, সকাল ১০ টায়
এইমস, সকাল ১০: ৩০
সময় ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতাল ব্যান্ড বাজিয়ে কুর্নিশ জানানো হয়।
নৌসেনার মুখপাত্র বিবেক মাধবল জানিয়েছেন,
সমুদ্রে থাকা যুদ্ধজাহাজ গুলিতে
লাইট জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়.।গোয়া এবং মুম্বইতে
নৌসেনার হেলিকপ্টার পুষ্পবৃষ্টি করেছে।এর
পাশাপাশি চিফ অব ডিফেন্স
স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত করোনা
যোদ্ধাদের প্রশংসা করেছেন।