বৃহস্পতিবার কেরলের ওয়ানাড় থেকে মনোনয়ন পেশ করতে চলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নিজের বরাবরের কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের অমেঠী বাদে তিনি এবার কেরলের দ্বিতীয় কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। গতবারের মতো এবারও অমেঠীতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি এদিন অমেঠীতে এসে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, দ্বিতীয় একটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে রাহুল অপমান করেছেন অমেঠীর মানুষকে।

তাঁর কথায়, অমেঠীর দৌলতেই রাহুল ১৫ বছর ক্ষমতা ভোগ করছেন। এখন তিনি অন্য এক জায়গা থেকে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছেন। অমেঠী এই অপমান কখনও ভুলবে না।

ওয়ানাড়ের ভোটারদের উদ্দেশে স্মৃতি বলেন, আমি তাঁদের সাবধান করতে চাই। রাহুল গান্ধী এমপি হিসাবে কতদূর যোগ্য, তা যদি দেখতে চান, তাহলে অমেঠীতে আসুন। যে ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে অমেঠীর মানুষকে ঠকিয়েছে, সে এবার গিয়েছে আপনাদের ভোট চাইতে।

২০০৪ সালে প্রথমবার অমেঠী থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল। এবার তিনি যখন ওয়ানাড়ে মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছেন, তখন দু’দিনের ভোট প্রচারে অমেঠীতে গিয়েছেন স্মৃতি। ২০১৪ সালে তিনি ওই কেন্দ্রে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হেরে গেলেও রাহুলের জয়ের ব্যবধান তিনি অনেক কমিয়ে এনেছিলেন।

অমেঠী বরাবরই নেহরু-গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। জায়গাটি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। এই কেন্দ্রের বেশিরভাগ জুড়ে রয়েছে গ্রাম। গত পাঁচ বছরে স্মৃতি নিয়মিত অমেঠীতে গিয়েছেন। নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করেছেন। তার অন্যতম হল অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির কারখানা। গত মাসে সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

স্মৃতি বরাবরই বলে এসেছেন, কংগ্রেস সভাপতি অমেঠীকে উপেক্ষা করেন। এবার রাহুল অমেঠী বাদে দ্বিতীয় একটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিজেপি অভিযোগ করেছে, তিনি পালাচ্ছেন। অমেঠীতে জেতার সম্ভাবনা নেই দেখে দ্বিতীয় কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কয়েক বছর ধরে রাহুলের কেন্দ্রে নিয়মিত যাতায়াত করেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। মা সনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায় বরেলিতেও যান তিনি। এতদিন তিনি দু’টি কেন্দ্রের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে উত্তরপ্রদেশে ৮০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪১ টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাহুলের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গিয়েছেন ওয়ানাড়ে। সেখানে ভোট হবে ২৩ এপ্রিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.