বর্ণ বৈষম্য এবং অস্পৃশ্যতা ভারতে অবৈধ হতে পারে, তবে এখনও এগুলির প্রচলন রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল সে কুপ্রথা প্রচলিত রয়েছে কাদের মধ্যে ? প্রচলিত রয়েছে যারা দলিত মুসলিম ঐক্যের ন্যায় কাঁঠালের আমস্বত্তের স্বপ্ন দেখায় তাদের মধ্যে। করোনা ভাইরাসের মহামারী প্রকোপে আজ পুরো বিশ্ব যখন ধ্বংসের মুখে তখন উত্তর প্রদেশের কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক যুবক দলিতের হাতে রান্না করা খাবার খেতে অস্বীকার করেছে। কেবল তাই নয় , সে কোভিড -১৯ পজিটিভ হবার পরও কোয়ারেন্টাইন নিয়ম উলঙ্ঘন করে পালিয়ে গেছে। যদিও তার বিরুদ্ধে up পুলিশ এফ আই আর করেছে। গত ১৩ এপ্রিল ঘটনাটি জানাজানি হয়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নেটিজেনদের ধিক্কার ওঠে।
টুইটার ব্যবহারকারীরা যাঁরা এই সংবাদটিকে সবার নজরে এনেছেন তাঁরা বলেছেন যে কুসংস্কার গ্রস্থ কিছু অবৈধ বিশ্বাসকে ধরে রাখা বিশেষত বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ে অযৌক্তিক।
এফআইআর অনুসারে, ওই ব্যক্তির নাম সিরাজ আহমেদ , উত্তরপ্রদেশের রাজ্যের কুশিনগর জেলার ভূজৌলি খুরদ গ্রামের বাসিন্দা। ২৯ শে মার্চ দিল্লী থেকে ফিরে আসার পরে তাকে চারজনের সাথে গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করা একটি কোয়ারানটাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। গ্রামের প্রধান লীলাবতী দেবী, যিনি দলিত( সনাতনে দলিত বলে কিছু হয় না , কর্মের ভিত্তিতে বর্ণাশ্রম ), তিনি পৃথকীকরণ কেন্দ্রে গিয়ে খাবার প্রস্তুত করছিলেন । রান্নার লোকের অনুপস্থিতির কারণে …. আহমদ তার রান্না করা খাবার খেতে রাজি হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন: “ব্লক অফিসারদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে গ্রাম্য প্রধানের দ্বারা রান্না করা খাবার অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে এবং যারা পৃথকীকরণ কেন্দ্রের নিয়ম লঙ্ঘন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অফিসার আরো বলেছেন যে কোয়ারান্টাইনড পাঁচজনের কারও কোনও লক্ষণ নেই তবে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে ২৮ দিন সেখানে রাখা হবে।
এখন প্রশ্ন হল ,উত্তরপ্রদেশে কোয়ারান্টাইনে থাকা যুবক দলিতের রান্না করা খাবার নিতে অস্বীকার করে। কিন্তু যুবকের নাম কি? ভারতীয় মিডিয়া নিশ্চুপ, কেননা নাম না নিলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়।”ভাসুর”এর নাম গোপন করা যায় আর স্বাভাবিকভাবেই দোষ হিন্দুদের বলেই লোকে মনে করে।
এদিকে গালফ নিউজের বিবরণ অনুযায়ী এ ব্যক্তির নাম সিরাজ আহমেদ।
এই মহামারীর সময়তেও তারা এই নোংরা খেলা খেলতে পারে তারা কতটা নির্লজ্জ হতে পারে ভাবুন।