বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বড় চিন্তা থাকে অবসরের পরের জীবন নিয়ে। কিন্তু এমনই এক নিয়ম রয়েছে যার মধ্য দিয়ে নিজের পেনশন নিজেই বাড়িয়ে নিতে পারেন। জেনে নিন পেনশন সংক্রান্ত ১০ জরুরি তথ্য।
১. প্রতি মাসে আপনার বেতন থেকে একটি পরিমাণ টাকা কেটে নেয় আপনার এমপ্লয়ার। সমপরিমাণ টাকা দিয়ে জমা দেয় ইপিএফও-তে। এর একটা অংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বাকিটা জমা পড়ে পেনশন ফান্ডে।
২. এখন আপনার হাতেই রয়েছে পেনশন ফান্ডে জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে সেই সুযোগ তৈরি হয়। পেনশন দশ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে নিয়মেই।
৩. যে কোনও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এমপ্লয়ার প্রতি মাসে বেসিক বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ কেটে নেয়। সম পরিমাণ টাকা দেয় এমপ্লয়ার। মোট ২৪ শতাংশ টাকা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এ জমা পড়ে না।
৪. চাকরিজীবীর বেতন থেকে কাটা ১২ শতাংশের ৮.৩৩ শতাংশ জমা পড়ে এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস)-এ। বাকি টাকা জমা পড়ে ইপিএফ-এ।
৫. আরও একটা নিয়ম রয়েছে। বেসিক ও ডিএ মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার টাকার উপরে ৮.৩৩ শতাংশ ইপিএস হিসেবে কাটা যায়। অর্থাৎ একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর মাসে সর্বাধিক ইপিএস কনট্রিবিউশন হতে পারে ১,২৫০ টাকা।
৬. ২০১৪ সালের আগে যেটা ছিল মাসে মাত্র ৫১৪.৪ টাকা। তারও আগে ছিল ৪১৬.৫ টাকা।
৭. ১৯৯৬ সালে ইপিএস আইনে একটা বদল আসে। সেখানে বলা হয়, কেউ চাইলে শুধু বেসিক ও ডিএ নয়, মোট বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন ফান্ডে জমা করতে পারেন। এই সুবিধা নেওয়া এতটাই কমে যায় যে পরবর্তীকালে ইপিএফও এমন অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে শুরু করে।
৮. ২০১৬ সালে বিভিন্ন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, কর্মচারীদের প্রাপ্য সুযোগ দিতে হবে ইপিএফও-কে। চাইলে গোটা বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন ফান্ডে জমা করা যাবে।
৯. এই রায়ের পরেও এক বছর সময় লেগে যায় নির্দেশ কার্যকর করতে। সম্প্রতি ইপিএফও এই সুযোগ দিতে শুরু করেছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে দশ গুণ তো বটেই আরও বেশি হয়ে যেতে পারে পেনশনের পরিমাণ।
১০. সকলেই কি এই সুযোগ পাবেন? না, এখানে একটি ছোট্ট শর্ত রয়েছে। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের আগে যাঁরা ইপিএফও সদস্য হয়েছেন তাঁরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন।