প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি নয়, তৃণমূল (tmc)স্থানীয় নেতাদের দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু এলাকায় রেশনের কুপন বিলি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ বিজেপির। সরকারি নির্দেশেই এমনটা চলছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। সরকারি কাজে কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে বিশেষ ফায়দা দেওয়া হল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজস্ব বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে করে এমনই অভিযোগ করলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, যারা ডিজিটাল রেশন কার্ড এখনো পাননি, দরখাস্ত করা আছে বা পুরনো কার্ড আছে, তাদের খাদ্য দপ্তর থেকে কুপন দেওয়া হবে। সরকারিভাবেই ওই কুপন প্রাপকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি কর্মী নয়, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কুপন বিলি হচ্ছে। আরো আশ্চর্যের বিষয়, যেসব পঞ্চায়েতে তৃণমূল রয়েছে, সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কুপন বিলি করছেন। অথচ যেসব অঞ্চলে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে, সেখানে বিজেপি (bjp)পঞ্চায়েত সদস্যদের বাদ দিয়ে, তৃণমূল পার্টি কর্মীকে দিয়ে কুপন বিলি করা হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি আরো অভিযোগ করেন, এদিন তিনি খবর পেয়েছেন, জেলার বংশীহারী ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় কুপন বিলি করতে যাওয়া লোকজন গরিব মানুষদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে তিনি জেলাশাসক কে জানিয়েছেন বলে জানান।
এছাড়াও সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে জেলাশাসকের উচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার। যাতে অন্য দলের জনপ্রতিনিধিরাও জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে কর্মযজ্ঞে শামিল হতে পারে।