রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার জন্য একাধিক অস্ত্রে শান দিয়ে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ তারই মাঝে সুকৌশলে খেলে দিলেন হিন্দুত্বের তাসও৷ প্রসঙ্গ দাড়িভিট৷
বক্তব্যের মাঝেই উঠে এল দাড়িভিট হাইস্কুল ঘটনার কথা৷ বললেন আলিপুরদুয়ারের মানুষ উর্দু পড়তে চায় না, বাংলা পড়তে চায়৷ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উর্দু শিক্ষক পাঠাচ্ছেন৷ অথচ স্কুলে একজনও উর্দু পড়ার ছাত্র নেই৷ তাও জোর করে শিক্ষক রাখা হচ্ছে৷
অমিত শাহ প্রশ্ন করেছেন বাংলা ভাষাভাষি মানুষকে কেন উর্দু শেখানো হচ্ছে? জোর করে উর্দু ভাষা পড়ানোর অভিযোগ এনেছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে৷ এখানেই হিন্দুত্ববাদের সুড়সুড়ি রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ বাংলা ভাষার ওপরে উঠে কেন উর্দু ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, সেই ইঙ্গিতই দিতে চেয়েছেন বিজেপি সভাপতি? ওয়াকিবহাল মহল অন্তত তাই মনে করছে৷
অমিত শাহ বলেছেন রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ সেই সন্ত্রাস থেকে একমাত্র বাঁচাতে পারেন নরেন্দ্র মোদী৷ উল্লেখ্য উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০শে সেপ্টেম্বর উর্দু এবং সংস্কৃত শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নেমেছিল ছাত্ররা৷ আন্দোলনরত ছাত্রদের মধ্যে দুজন গুলি লেগে নিহত হন৷ অভিযোগ পুলিশের গুলিতেই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে৷ ঘটনার দিনই মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার নামে এক ছাত্রের৷ পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় অপর ছাত্র তাপস বর্মনের৷
গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রাম৷ সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নামেন মৃত দুই ছাত্রের পরিবার সহ গ্রামবাসীদের একাংশ৷ মৃত দুই ছাত্রের নিথর দেহ বলঞ্চা নদীর পাশে কবর দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এই ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বর্তমান স্কুল পরিদর্শক নারায়ণ সরকারকে সাসপেন্ড করেছিল শিক্ষা দফতর। সাসপেন্ড অর্ডারে কারণ হিসেবে উল্লেখ ছিল দাড়িভিটের ঘটনার কথা৷