একদা অধীর চৌধুরীর ছায়া সঙ্গী হিসেবে পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন কবির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখান হুমায়ুন কবির। এবার সেই সংখ্যালঘু নেতা হুমায়ুন কবিরকে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে নাম ঘোষণা হতেই খুশি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। ফলে চতুর্মখী লড়াইতে সবাই সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছে, পিছিয়ে থাকল না বিজেপিও। মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সহ সভাপতি হুমায়ুন কবিরকে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি নেতৃত্ব।
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু প্রার্থী মাফুজা খাতুনের পর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সংখ্যালঘু প্রার্থী।
হুমায়ুন কবির বলেন, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সবকা সাথ সবকা বিকাশ মোদীজির পাঁচ বছরের উন্নয়নের ক্ষতিয়ান তুলে ধরা হবে। তবে, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস, তৃণমূল বা বামফ্রন্টকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন না বিজেপি প্রার্থী হুমায়ুন কবির। বুধবার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দেবেন হুমায়ুন কবির।
হুমায়ুন কবির ১৯৮২সালে রাজনীতি করছেন মুর্শিদাবাদ জেলাতে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কংগ্রেস করে আসছেন অধীর ছায়া সঙ্গী বলে পরিচিত হুমায়ুন কবীর। ২০১১সালে কংগ্রেসের টিকিটে রেজিনগর থেকে প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হন। অধীর চৌধুরী সাথে দুরত্ব তৈরি করে ২০১২সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন মন্ত্রী হন হুমায়ুন। তবে, ছয় মাস মন্ত্রী থাকার পর উপ নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর প্রার্থী রবিউল আলম চৌধুরী কাছে পরাজিত হন হুমায়ুন কবীর। এরপরই তৃণমূলের সাথে দুরত্ব তৈরি হয়। দল বিরোধী কাজের জন্য শোকজ করে শাসকদল এবং পরে অধীর চৌধুরী চৌধুরী হাত ধরে পুনরায় কংগ্রেস ফিরে আসেন হুমায়ুন।
গত পঞ্চায়েত লড়াই করার জন্য মাঠে নামেন কিন্তু কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেনেন এবং তার এক মাসের মাথায় কংগ্রেস ত্যাগ করে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে।