বিলাসিতা নয়, আজকের দুনিয়ায় মানুষের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল মোবাইল ফোন। আকারে ছোট এই বস্তুটি প্রায় সবারই পকেটে দেখা মেলে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত তো বটেই নিতান্ত গরিব মানুষের পকেটেও নিদেনপক্ষে কম দামের হলেও প্রায়ই দেখা মেলে এই বস্তুটির। আর এবার দেশের বাজারে মোবাইল এবং তার আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মাটিতে মোবাইল এবং তাঁর আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষেত্রে ৪২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হল দেশের মাটিতে মোবাইল ফোন তৈরি করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্রুত তা বিক্রি করা।
বর্তমানে ভারতের মোবাইল ফোনের বাজারে যে কয়েকটি ফোন জনপ্রিয় তা সবই দেশের বাইরের। অল্প দামে উন্নত প্রযুক্তি সেই সকল ফোনে থাকাতে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাধারণের কাছে। সেখানে দাঁড়িয়ে কয়েক বছর আগে দেশীয় লাভা, মাইক্রোম্যাক্স, কার্বন খুব একটা পাত্তা পায়নি। আর তাই এবারে কেন্দ্রীয় সরকার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মোবাইল এবং তার যন্ত্রাংশের উপরে জোর দিতে চাইছে সরকার।
বিদেশী জিনিসের কাছে বরাবর খুব একটা পাত্তা পায়নি দেশীয় প্রযুক্তি। তাঁর অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জিনিসপত্রের দাম, কর্মীদের দক্ষতা সহ একাধিক প্রশ্ন। আর এবারে সেই সকল বিষয় মাথাতে রেখে এহেন পদক্ষেপ নেওয়াতে দেশের মানুষজনের পক্ষে সুবিধাজনক বলে মনে করছেন অনেকে।
এই নয়া প্রকল্পের লক্ষ হল ভারতকে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ তৈরির হাব তৈরি করা। কারণ ভারতের বাজারে যে সকল ইলেকট্রনিক্স জিনিস রয়েছে বিশেষ করে মোবাইল তাঁর বেশীরভাগ ভিয়েতনাম, কোরিয়ান। যাতে বিদেশী কোম্পানির উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসের উপরে ভরসা বাড়ানো যায় বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমিয়ে মাথা তুলে স্বাধীন ভাবে দাঁড় করা যায় তাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্প অর্থ মন্ত্রক এবং বাণিজ্য মন্ত্রক এবং নীতি আয়োগ যৌথ ভাবে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত লঞ্চ করতে চলেছে। বাইরে থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের উপরে সরকার চাপাতে চলেছে করা নিষেধাজ্ঞা। আর তাঁর জায়গাতে এই প্রকল্পের ফলে দেশের মাটিতে তৈরি হওয়া যন্ত্রাংশ বাইরে রফতানি করে দেশীয় বাণিজ্য কাঠামো মজবুত করতে চাইছে সরকার। যার ফলে দেশে তৈরি হবে একাধিক কর্মসংস্থান। আর এই পদক্ষেপ দেশীয় অর্থনীতি মজবুত করতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।