মুলায়ম সঙ্গে তার ভাই শিভপাল ছেঁড়া হাওয়াই চপ্পল পরে ঘুরে দাঁড় করেছিলেন সমাজবাদী পার্টি। রাজনীতি শুরু করা সহজ নয়, এবং বিশেষ করে আগেকার দিনে রাজনীতি করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। নিজের পার্টির প্রতি মানুষের ভরসা তৈরির জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হতো। বর্তমানের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। আজকে মিডিয়াকে টাকা খাইয়ে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ইমেজ তৈরি করতে পারেন।
কিন্তু মুলায়মের মতো লোকেরা যখন রাজনীতি শুরু করেছিলেন তখন এই কাজটি প্রায় অসম্ভব ছিল। আপনি সমাজবাদী পার্টিকে পছন্দ করুন বা না করুন, পার্টিকে দাঁড় করাতে অনেক সময় লেগেছে এটা চরম সত্য। মুলায়ম সিং যাদব সাধারণ পরিবারের ছিলেন, জেপি আন্দোলনের সাথে জড়িত এবং সমাজবাদী পার্টি তিনি তৈরি করেছিলেন, আজ আখিলেশ যাদব এই দলকে হাতিয়ে ফেলেছেন।
কিন্তু এই পার্টি মুলায়াম তার ভাই শিবপালের সাথে মিলিত হয়ে দাঁড় করেছিলেন। মুলায়ম সিং যাদব এর কাছে সাইকেল ও ছিল না, খালি পায়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিল, এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে পার্টি কে দাঁড় করানোর জন্য প্রচার করতেন।শিবপাল ও অখিলেশ বহু জায়গায় নিজেরদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, হওয়ায় চপ্পল থেকে সমাজবাদী পার্টিকে দাঁড় করিয়েছে এবং আজ যা কিছু আছে তা সেই মুলায়ম এবং শিবপালের কারণেই আছে।
কিন্তু আজ অখিলেশ যাদব এই পার্টিকে দখল করেছেন এবং শিবপাল ও মুলায়াম উভয়কে পার্টি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছ। ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণে মুলায়ম সিং যাদবকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তারই ছেলে অখিলেশ যাদব। পিতা ও ছেলের দ্বন্দ পুরো উত্তর প্রদেশ জুড়ে কুখ্যাত। মুলায়ম কে টিকিট তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু শুধু ভোট পাওয়ার উদ্দেশ্যে । গতকাল সমাজবাদী পার্টির নিজস্ব প্রচারকগণের 40 নেতাদের তালিকা দিয়েছেন, এবং সর্বাধিক বড় বিষয় এই যে অখিলেশ যাদব নিজের পিতা মুলায়ম সিং যাদবের নাম প্রচারকদের তালিকা থেকে কেটে দিয়েছেন।
আজ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এই বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, মুলায়ম হওয়ায় চপ্পল পরে ,ছেঁড়া চপ্পল পরে,খালি পায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই পার্টির প্রচার করেছিল এবং এই পার্টিকে দাঁড় করিয়েছে এবং একটি বড় পার্টি তৈরি করেছে। কিন্তু আজকে তার ছেলেই মনে করে এই দলটির প্রচারের জন্য তার কোনো যোগ্যতাও নেই, এবং যে মায়াবতী মুলায়ামের পুরো জীবনকে অপমান করে এসেছে,মুলায়ামকে জেল যাবার ভয় দেখিয়েছে , আজকে অখিলেশ তার সাথ দিচ্ছে।