নীলফামারীর ডোমারে একটি হিন্দু পরিবারকে অমানুষিক নির্যাতনের মামলার মূল আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার পাংগা মটুকপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর মটুকপুর গ্রামের তেলীপাড়া এলাকার বিমল চন্দ্র রায়ের পুত্র বিশ্বদেব চন্দ্র রায় ও হুমায়ুন কবির রঞ্জুর মেয়ে জেমি আক্তার মটুকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে একই ক্লাসে লেখাপড়া করত। জেমি আক্তার বর্তমানে নীলফামারী সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। অপরদিকে বিশ্বদেব ডোমার সরকারি ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। জেমি আক্তারকে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মোবাইলে উত্যক্ত করত বখাটেরা। এ ঘটনায় বিশ্বদেব বখাটেদেরকে মোবাইল নম্বর দিয়ে এ উত্যক্তর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৫ই মার্চ সকালে জেমি আক্তারের পিতা হুমায়ুন কবির রঞ্জু দলবল নিয়ে বিশ্বদেব চন্দ্রের বাড়িতে এসে বোন মনিকা বালা ও মা সমারী বালাকে মারধর করে। এ সময় মোবাইল ও বাইসাইকেল নিয়ে যায়। এদিনই দুপুরে জেমি আক্তারের বড় চাচা আরিফে রব্বানী লাজু হুমায়ুন কবির রঞ্জুর মৎস্য হ্যাচারিতে মোবাইল ও বাইসাইকেল দেওয়ার কথা বলে ডেকে আনে। এ সময় বিশ্বদেবের পরিবারকে হাত-পা বেধে মারধর করে। এরপর লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
মৃত কামিনী রায়ের পুত্র ভ্যানচালক বিমল চন্দ্র রায়, বিমলের মেয়ে মনিকা বালা, বিমলের স্ত্রী সমারী বালা, বিমলের পুত্র বাসুদেব আহত হয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ডোমার থানায় রবিবার ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগী বিমলের বড় ভাই ও মৃত কামিনী বর্মণ রায়ের পুত্র শান্তিপদ রায়। মামলা নং ০৮। উক্ত মামলার মূল আসামি হুমায়ুন কবির রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে জেলহাজতে প্রেরণ করে ডোমার থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকছেদ আলী বেপারী জানান, একটি হিন্দু পরিবারকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। এটা আইনগত কঠিন অপরাধ। মূল আসামি হুমায়ুন কবির রঞ্জু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের ধরার জন্য অভিযান চলছে।