চোল সাম্রাজ্যের অবলুপ্তির কারণ জানতে অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের | যা কিনা অবস্থিত ছিল তামিলনাড়ুর পুমপুহার শহরের ৩০কিলোমিটার দূরে | দক্ষিণ তামিলনাড়ুর এই শহরে চোল বংশের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে সঙ্গম তামিল সাহিত্যের গবেষকদের থেকে | তার উপর ভিত্তি করেই প্রায় এক হাজার বছর আগে সমুদ্রে গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া এই সাম্রাজ্যের অবলুপ্তির কারণ জানা যায়নি আজও |
তাই একে হেরিটেজ ঘোষণার মাধ্যমে উন্নত যন্ত্রের মাধ্যমে সমুদ্রে তলায় এর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার কাজে নামতে চলেছেন একদল গবেষক | প্রাথমিক অনুমান সমুদ্র তলের বৃদ্ধি হওয়া সঙ্গে সঙ্গে এই ভূখন্ড বসে যায় | এই কাজের জন্য আলাদা করে তৈরি করা কমিটির প্রধান ডঃ মরলিধরের মতে, আজকের পুমপুহারের আগে সেখানে কি ছিল তা নিয়েও ভূতত্ববিদ,প্রত্নতত্ববিদ বা নৃতত্ববিদেরা কেউ কোন হদিশ দিতে পারেননি |
এমনতি আগের ম্যাপেও এই শহরের কোন উল্লেখ নেই | তাই সব দিক থেকে মনে করা হচ্ছে এর অনতিদূরে অবস্থিত সমুদ্রে খনন কার্যের ফলে জানা যাতে পারে হাজার বছর আগে বিলুপ্তি ঘটা চোলেদের | এই মর্মে ১৩জন শিক্ষাবিদকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ডিএসটি |
রিমোট সেনসিং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এটি জানা সম্ভব হয়েছে বন্দর শহর পুমপুহার আনুমানিক ১৫হাজার বছর আগে এখনকার অবস্থান থেকে তিরিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল | তাই প্রথম যে বিষয়ে তারা আলোকপাত করতে চান তা হল কীভাবে এই শহরের উৎপত্তি | কীভাবেই বা সরে এল তা ? কাবেরী ব-দ্বীপে তৈরি হওয়া এই শহরের ডিজিটাল পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিশেষ কমিটি |
ইন্ডিয়ান ডিজিটাল হেরিটেজ প্রকল্পের মধ্যে পুমপুহার ছাড়াও রাখা হয়েছে গুজরাতের দ্বারকাকেও | সমু্দ্রের তলায় বিশষ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা বিশিষ্ট যন্ত্র নামিয়ে ছবি তুলে ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এই ডিজিটাল পুনর্নির্মাণ সম্ভব হবে বলে জানান প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এস এম রামাস্বামী| তবে পুমপুহারের কাজটি দ্বারকার থেকে শক্ত বলে মনে করছেন গবেষকদের বিশেষ কমিটি | কারণ গুজরাটের এই জায়গার উল্লেখ আগে ম্যাপে উল্লেখিত থাকলেও পুমপুহারের কোন অস্তিত ম্যাপে ছিল না বলে জানান তাঁরা |