দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে নিরাপত্তারক্ষী-জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই চলাকালীন মৃত্যু হয় পুলওয়ামা হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মুদাসির আহমেদ খানের। এ বার মুদাসিরের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পুলওয়ামা কাণ্ডের ওপর চক্রী ধরা পড়ল দিল্লি থেকে। বৃহস্পতিবার লাল কেল্লার কাছ থেকে জইশ-ই-মহম্মদের সক্রিয় সদস্য সাজিদ খান ওরফে সাজ্জাদকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ফোর্স।
বছর সাতাশের সাজিদ পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনের ‘স্লিপার সেল’-এর অন্যতম সদস্য বলে জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পুলওয়ামা হামলার ঠিক আগের দিন সে দিল্লিতে এসে পৌঁছয়। সেখানে কাশ্মীরের এক শাল ওয়ালার পরিচয়ে আত্মগোপন করেছিল সাজিদ।
পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা ও তার পর দিন নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জইশ শিবিরে বিমান হানার পর থেকে শুধুমাত্র কাশ্মীর উপত্যকা নয়, দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে এনআইএ তল্লাশি। জইশ-সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল সংগঠনগুলির খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সাজিদের হাত ধরেই রাজধানী শহরে জইশের এমন আরও স্লিপার সেল আত্মগোপন করে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জম্মুর বাসিন্দা সাজিদের দুই দাদাও ছিল জইশের সক্রিয় সদস্য। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুলওয়ামা কাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মুদাসির আহমেদ খানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলত সাজিদ। ২০১৭ সালে জইশ নেতা নুর মহম্মদ তান্ত্রের প্রশিক্ষণে সক্রিয় ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপে যোগ দিয়েছিল মুদাসির। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার জন্য যে বিস্ফোরক এবং গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা সরবরাহ করেছিল এই মুদাসিরই। তার পর সেই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ জঙ্গি আদিল আহমেদ। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালের পিঙ্গলিশ গ্রামে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় মুদাসিরের। খতম হয় জইশের আরও এক জঙ্গি খালিদ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সাজিদ শুধুমাত্র মুদাসির নয়, পাক জঙ্গি ইয়াসিরের সঙ্গেও যোগ রেখে চলতো। হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য মোবাইল অ্যাপে ভুয়ো নম্বরে পাক জঙ্গিদের সঙ্গে কথোপকথন চালাতো সাজিদ।