একবার এই দেশকে বিভাজন করা হয়েছে। আবার এই দেশের অযোধ্যা, মথুরা, বৃন্দাবনের মতো পূণ্যভূমি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তা সফল হবে না এবং ভারত, নেপাল, ভুটান সবার আগে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হবে বলে দাবি করলেন পুরীর শঙ্করাচার্য। সোমবার দুপুরে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া এনআরসি, সিএএ ও বর্তমান দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিস্থিতি নিয়ে নিজের বেশ কিছু মতামত পোষণ করেন এই ধর্মগুরু।
ভারতবর্ষে যতদিন অন্য ধর্মের মানুষজন শালীনতা বজায় রেখে, সম্প্রীতি বজায় রেখে থাকতে পারবেন, ততদিন কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি বিশ্বের যে কোনও দেশে যদি হিন্দুরা নিপীড়িত হন তাদের ভারত, নেপাল, ভুটানের মত হিন্দু রাষ্ট্রে যাতে সুস্থ ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়, সেই দাবি করেন এই ধর্মগুরু। এছাড়া ও ’গান্ধীজীর বিভেদের রাজনীতি,’ বর্তমান রাজ্য ও দেশের রাজনীতি নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। অনেক লড়াইয়ের পর ভারতকে ভাগ করে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। আর এর পিছনে গান্ধীজির হাত ছিল বলে দাবি করে এই ধর্মগুরু। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে আর একবার ভারতকে বিভাজন করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের সুরক্ষার জন্য যদি কিছু নতুন আইন প্রণয়ন করা হয় তাতে কোনও ক্ষতি নেই। হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে ভারত সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নেবে বলে দাবি করেন শঙ্করাচার্জ। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করে যাতে গঙ্গাসাগরের মত তীর্থ ক্ষেত্রকে পিকনিক স্পটে পরিণত করা না হয় সেদিকেও নজর দিতে রাজ্য সরকারকে আবেদন করেন শঙ্করাচার্য।